বিশেষভাবে ‘সজ্জিত’ জাহাজ পারে এই ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ কাজটা করতে। সমুদ্র থেকে প্লাস্টিক তুলে তাকে জ্বালানিতে রূপান্তরিত করতে! সেই জ্বালানি শুধু সংরক্ষণ হবে না, জাহাজও চলবে সেই জ্বালানিতে। প্রত্যেক বছর সমুদ্রে ফেলা প্লাস্টিকের পরিমাণ ১২.৭ মিলিয়ন টন! এবং শেষপর্যন্ত সেই প্লাস্টিক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণায় রূপান্তরিত হয় এবং আবার প্রবেশ করে ফুড-চেনে। বর্তমান পদ্ধতিতে সেই প্লাস্টিকের পাহাড় সমুদ্র থেকে তুলে জাহাজগুলো কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরে নিয়ে গিয়ে আনলোড করে এবং সেই বর্জ্যকে জ্বালানিতে রূপান্তরিত করা হয়। কিন্তু সেই জ্বালানিটা জীবাশ্ম জ্বালানি।
কিন্তু ম্যাসাচুসেটসের একটি পলিটেকনিক সংস্থার অধ্যাপক মিকায়েল টিমকো ও তার সতীর্থরা জানাচ্ছেন এই বর্জ্যকে একটা বিশেষভাবে সজিত জাহাজ নিজেই তুলে হাইড্রোথার্মাল পদ্ধতিতে তরলীকরণ করা সম্ভব। তখন সেই বর্জ্য থেকে তৈরি হওয়া জ্বালানি কিন্তু অজীবাশ্ম জ্বালানিতে রূপান্তরিত হবে। মানে, সেখান থেকে নিসৃত কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণও অনেক কম হবে। টিমকো জানাচ্ছেন, প্রশান্ত মহাসাগরে যে ১.৬ মিলিয়ন বর্গ কিলোমিটার অঞ্চল জুড়ে গ্রেট প্যাসিফিক গার্বেজ প্যাচ রয়েছে সেখানেই প্লাস্টিক ও অন্যান্য নানারকমের বর্জ্য ফেলা হয় এবং সেখান থেকে জাহাজগুলো বর্জ্য সংগ্রহ করে। বিশেষভাবে সজ্জিত জাহাজ সেখান থেকেই বর্জ্য তুলে যদি এই কাজটি করে তাহলে টিমকোর দেওয়া হিসেব অনুযায়ী এক বছরে একটা জাহাজ ১১ হাজার ৫০০ টন প্লাস্টিককে অজীবাশ্ম জ্বালানিতে রূপান্তরিত করতে পারবে!