প্লাস্টিকের পর্দা নয়, মাস্কই বিকল্প

প্লাস্টিকের পর্দা নয়, মাস্কই বিকল্প

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ২১ আগষ্ট, ২০২১

কোভিড আসার পর থেকেই কোনো কাউন্টার লক্ষ্য করলেই দেখা যেতে পারে কাউন্টারের কর্মী এবং উলটো দিকের উপভোক্তাদের মধ্যে তফাৎ তৈরি করেছে একটি প্লাস্টিকের পর্দা। অটো বা ক্যাবের সামনের ও পেছনের অংশের ক্ষেত্রেও একই জিনিস। সাধারণভাবে আমরা মনে করে থাকি এই ধরণের পর্দায় কোভিডের জীবাণু আটকে যায়, এবং এর ফলে রক্ষা পাওয়া যায় আক্রান্তের থেকে। কিন্তু বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এই ধরণের পর্দা সিকিউরিটি বা নিরাপত্তা সম্পর্কে আমাদের ভ্রান্ত ধারণা দেয়, এবং কখনও এই পর্দা আমাদের ক্ষতিও করতে পারে। যেমন, এই পর্দা স্বাভাবিক বায়ু চলাচল ব্যহত করে দেয়। সাধারণ কোনো সেলুনে, ব্যাঙ্কে, বা অফিসে নিঃশ্বাস ত্যাগের সময় বা কথা বলার সময় যে সূক্ষ্ম কণাগুলি আমাদের নাক মুখ দিয়ে বেরোয়, ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা ঠিক থাকলে, ১৫ থেকে ৩০ মিনিটেই সেগুলি বাতাসের প্রবাহের ধাক্কায় সরে গিয়ে বিশুদ্ধ বাতাসে স্থানটি পূর্ণ হয়ে যায়। কিন্তু ওই ধরণের পর্দা স্বাভাবিক বায়ু চলাচল ব্যহত করার জন্যে জীবাণু কণা যুক্ত বাতাস সহজে পরিশুদ্ধ হয় না। তিনটি উদাহরণ দেখা যাক-

১) ব্রিটিশ গবেষকরা একটি পরীক্ষায় দেখেছেন, এই ধরণের পর্দা কেবল হাঁচি কাশির সময় বড় কণাগুলি আটকাতে সক্ষম হচ্ছে, কিন্তু কথা বলার সময় যে ছোটো কণা বেরোচ্ছে তা আটকাতে সক্ষম হচ্ছে না। এবং বায়ু চলাচলের স্বাভাবিক গতিরোধের জন্যে ওই স্থানের বায়ুতে জীবাণু রয়ে যাচ্ছে।

২) জন হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি পরীক্ষায় দেখা যায় ছাত্রদের পৃথক ডেস্ক-এ প্লাস্টিকের পর্দা করোনা ভাইরাস রোধে মাস্ক বা ভেন্টিলেটরের চেয়ে খুবই নগণ্য ভূমিকা পালন করছে।

৩) করোনা আসার অনেক আগে ২০১৪ সালের এক পরীক্ষায় দেখা যায় অফিসের ছোট কুঠুরির মতো যে ডিভাইডারগুলি থাকে, সেগুলিই অস্ট্রেলিয়ার একটি অফিসে যক্ষ্মা ছড়িয়ে পড়ার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × two =