প্লাস্টিক রিসাইকেল কি পুরোটাই একটা ব্যর্থ ধারণা?

প্লাস্টিক রিসাইকেল কি পুরোটাই একটা ব্যর্থ ধারণা?

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ২৫ অক্টোবর, ২০২২

প্লাস্টিক উৎপাদনের পরিমাণ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। কিন্তু কমেছে প্লাস্টিক রিসাইকেল করার হার। শিল্পগোষ্ঠী প্লাস্টিকের ক্ষেত্রে যে অর্থনীতির বৃত্তস্রোতের ঢাক পেটায়, তা যে বহুলাংশে ভুল সেটা প্রমাণ করে দিল গ্রিনপিস ইউএসএ সংস্থার একটা রিপোর্ট। গত সোমবার প্রকাশিত হয়েছে এজেন্সি ফ্রান্স-প্রেসে।
গ্রিনপিস ইউএসএ-র মূল আহ্বায়ক লিসা র‍্যামসডেন সরাসরি আঙুল তুলেছেন কোকাকোলা, পেপসিকো, ইউনিলিভার আর নেসলের মতো তাবড় কোম্পানির দিকে। প্লাস্টিক রিসাইকেল আদৌ কার্যকরী কিনা সেটা না জেনেই রিসাইকেল করাকেই একমাত্র সমাধান ভেবে পরোক্ষে এই সংস্থাগুলো নিজেদের দায় এড়িয়ে যায়। এমনই অভিযোগ শ্রীমতী র‍্যামসডেনের।
গ্রিনপিসের সমীক্ষা বলছে, সারা দেশ জুড়ে মাত্র দুই ধরণের প্লাস্টিক গৃহীত হয় রিসাইকেলের জন্য। এক, পলিইথিলিন টেরেপথ্যালেট (পেট), আর দুই, উচ্চ-ঘনত্বের পলিইথিলিন। পেট নামের প্লাস্টিক ব্যবহৃত হয় মূলত জলের বোতল বা সোডার বোতল তৈরিতে। আর হাই-ডেন্সিটি পলিইথিলিন ব্যবহৃত হয় দুধের জগ, শ্যাম্পু বোতল বা ঐ জাতের টিউব তৈরিতে। কিন্তু প্লাস্টিক রিসাইকেলের অসুবিধেগুলো ঠিক কোথায়?
প্রথমত, এতও বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করা চাপের ব্যাপার। দ্বিতীয়ত, যদি বা একজায়গায় জড়ো করা যায় তখনও একসাথে রিসাইকেল করা সম্ভব নয়। কারণ নানান জাতের প্লাস্টিকের ছোট ছোট টুকরো আলাদা করে তারপর রিসাইকেল করতে পাঠানো কার্যত অসম্ভব। তৃতীয়ত, রিসাইকেল করার প্রক্রিয়াটা ব্যাপকভাবে পরিবেশ দূষণ ঘটায়। শ্রমিকরাও রাসায়নিক দূষণের শিকার হয়। চতুর্থ কারণ, রিসাইকেল করা প্লাস্টিকের ভেতর বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থের উপস্থিতি থেকেই যায়। আর শেষ কারণ হিসেবে লিসা র‍্যামসডেন বলছেন, গোটা কর্মকাণ্ড অত্যন্ত ব্যয়বহুল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 − 13 =