ফলের মাছিদের আজগুবি চোখ

ফলের মাছিদের আজগুবি চোখ

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌
Posted on ৯ নভেম্বর, ২০২২

বয়ঃসন্ধির সময়ে মানুষের শরীরের পরিবর্তনে কিছুটা অস্বস্তি অবশ্যই লাগে। কিন্তু মাথার ভেতর থেকে চোখদুটো অন্তত বাইরে এসে ঝুলতে থাকে না। কিন্তু ফল-মাছির চোখ তাদের পায়ের চেয়ে নাকি লম্বা।
পূর্ণবয়স্ক পুরুষ পেলম্যাটপ্স মাছির ক্ষেত্রে ঐরকম লম্বা চোখ একটা মাচো ব্যাপার বটে। আবার, পেলম্যাটপ্স ট্যাংলিয়াঙ্গি মাছির ক্ষেত্রে চোখের এই পরিবর্তন ঘটতে সময় লাগে মাত্র ৫০ মিনিট। এমনই জানাচ্ছে নতুন এক গবেষণা। একবার বিকশিত হয়ে গেলে লম্বা কাঠির মতো চোখ কালো আর শক্ত হয়ে যেতে থাকে। তারপর সারাজীবন সেলফি স্টিকের মতো আকারে থেকে যায় সেটা।
ভিডিও থেকে দেখা গেছে এই কাঠিচোখ কোনও কোনও সময় কুণ্ডলী পাকিয়ে যায় আর অনিয়মিতভাবে বাড়ে। বেজিংয়ে চাইনিজ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেসের পতঙ্গবিজ্ঞানী শাওলিন চেন বলছেন, ফলের মাছির চোখ সামান্য স্ফীত হলেও কিন্তু খুলে পড়ার ভয় নেই। কিছুটা শক্ত মনে হলেও এই কাঠিচোখ কিন্তু বেশ নমনীয়।
অধ্যাপক চেন ও তাঁর সহকর্মীরা দেখেছেন প্রজাতির স্ত্রী সদস্যদের মধ্যেও এমন কাঠিচোখ গজিয়ে ওঠে। কিন্তু তাদের ক্ষেত্রে সেটা আকারে ছোট। চেন সন্দেহ করছেন একই প্রজাতির স্ত্রী আর পুং মাছির নামকরণ এতদিন আলাদা আলাদা করা হয়েছে। এই গবেষণাপত্রে উল্লেখিত যে, পেলম্যাটপ্স ট্যাংলিয়াঙ্গি প্রজাতির পুং মাছি একটা স্ত্রী মাছির সাথে মিলিত হয়েছে যা কিনা আপাতত নথিভুক্ত অন্য প্রজাতি হিসেবে।
কিন্তু উভয়েরই শরীরে ঐ কাঠিচোখের উপস্থিতি দেখা গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thirteen − 12 =