সম্প্রতি ফুসফুস স্ক্যান করার এক নতুন পদ্ধতি খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা যা ফুসফুসে চিকিত্সার প্রভাব দেখতে বা প্রতিস্থাপিত ফুসফুসের কার্যকারিতা দেখতে অথবা ফুসফুসের কার্যকারিতা হ্রাস পেলে তা শনাক্ত করতে সাহায্য করবে। যুক্তরাজ্যের নিউক্যাসেল ইউনিভার্সিটির গবেষকরা ফুসফুসের এই স্ক্যানটি প্রথম করেন। তারা দেখেন হাঁপানি, দীর্ঘস্থায়ী অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজে (সিওপিডি) আক্রান্ত রোগী এবং যাদের ফুসফুস প্রতিস্থাপন হয়েছে তাদের মধ্যে কীভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার সময় ফুসফুসের ভিতরে এবং বাইরে বায়ু চলাচল করে। রেডিওলজি এবং জেএইচএলটি ওপেনে এই বিষয় নিয়ে দুটি পরিপূরক গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে তারা ব্যাখ্যা করেন কীভাবে পারফ্লুরোপ্রোপেন নামে একটি বিশেষ গ্যাস ব্যবহার করে, তারা একটি এমআরআই স্ক্যানারে ফুসফুসের মধ্যে বায়ু চলাচল পর্যবেক্ষণ করেন। তারা জানান যে এই গ্যাসটি রোগীরা শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার সময় নিরাপদে ব্যবহার করেছেন। তারা আরও দেখেন শেষ পর্যন্ত ফুসফুসে কোথায় গ্যাসটি গিয়ে পৌঁছেছে। নতুন স্ক্যানিং পদ্ধতি ব্যবহার করে, দলটি ফুসফুসের সেই অংশগুলো দেখতে সক্ষম হয়েছেন যেখানে শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় বায়ু সঠিকভাবে পৌঁছায় না। ফুসফুসের কতটা অংশে ভালোভাবে বায়ুচলাচল করে এবং কতটা অংশে সে প্রক্রিয়া দুর্বল বিশেষজ্ঞরা তা পরিমাপ করেছেন। ফুসেফুসে রোগের প্রভাব মূল্যায়ন করে, ফুসফুসের যে অঞ্চলে বায়ু চলাচলে ত্রুটি রয়েছে তা শনাক্ত করে উপযুক্ত চিকিৎসা পদ্ধতি পরিকল্পনা করতে বিশেষজ্ঞরা সমর্থ হয়েছেন। গবেষকের দল আশাবাদী যে ভবিষ্যতে এই স্ক্যান পদ্ধতিটি ফুসফুস ট্রান্সপ্ল্যান্ট হয়েছে এমন রোগীদের নিয়মিত পর্যবেক্ষণ বা অন্যান্য ধরনের ফুসফুসের রোগ নির্ণয় করতে আরও ভালোভাবে সক্ষম হবে।