বদলে যাওয়া আবহাওয়ায় ফসল তোলার চাবিকাঠি

বদলে যাওয়া আবহাওয়ায় ফসল তোলার চাবিকাঠি

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২

জল চাষের জন্যে যে আবশ্যক সেটা জানতে ডিগ্রি থাকার দরকার নেই। কিন্তু জোনাথন প্রোক্টর অনেকদিন ধরেই ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করছেন কেন সংখ্যাতত্ত্বের নিরিখে চাষের কাজে জলের গুরুত্বকে যথেষ্ট তথ্যের সাহায্যে তুলে ধরা হয় না। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে এগ্রিকালচার অ্যান্ড রিসোর্স ইকোনমিক্সে গবেষণা করছেন ডক্টর প্রোক্টর।

কৃষিকাজ সংক্রান্ত সব তথ্যই জলের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে তাপমাত্রার ব্যাপারটাকে। যদিও দুটোই কিন্তু চাষের কাজে সমানভাবে দরকারি, প্রোক্টরের মতামত এমনই। উনি বর্তমানে পিটার হুবার্সের নেতৃত্বে জন পলসন স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অ্যাপ্লায়েড সায়েন্সের এক গবেষক দলের সদস্য। নতুন এই তদন্ত থেকেই বোঝা যাবে জলবায়ু পরিবর্তনের সাপেক্ষে চাষবাসে রীতি বদলের ধাঁধাটা ঠিক কোথায়।

হার্ভার্ডের গবেষক গোষ্ঠী বৃষ্টিপাতের সাথে সাথে নির্দিষ্ট অঞ্চলে মাটির আর্দ্রতা মেপে দেখতে চাইছেন। মূলত জোয়ার, বাজরা, সয়াবিন এইসব শস্যের উপর গবেষণা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। দেখা যাচ্ছে বার্ষিক বারিপাতের চেয়েও মাটির আর্দ্রতার তথ্য ব্যবহার করে ৩০ থেকে ১২০ শতাংশ সঠিক ধারণা পাওয়া যাবে বছরের মোট শস্য উৎপাদন করতে।

মেঘ থেকে যতখানি জল মাটিতে পড়ে, তার গোটাটাই যে ফসলের দেহে আসে তেমন না। জানিয়েছেন প্রোফেসর প্রোক্টর। কারণ পরিবেশের তাপমাত্রা আর মাটির শুষ্কতা গভীরভাবে সম্পর্কিত।