বদলে যাচ্ছে প্লুটোর বায়ুমণ্ডল। কয়েকবছর আগে অবশ্য প্লুটো গ্রহের তকমা হারিয়েছে। তবু মহাকাশবিজ্ঞানীদের পর্যবেক্ষণ, গবেষণা তো থেমে থাকে না। পৃথিবী থেকে প্লুটোর দূরত্ব ৪.৮ বিলিয়ন কিলোমিটার। আর সুর্য থেকে প্লুটোর দূরত্ব ৫.৯১ বিলিয়ন কিলোমিটার। মহাকাশবিজ্ঞানীরা অত্যাধুনিক টেলিস্কোপের সহায়তায় একাধিকবার প্লুটোকে দেখেছেন। তাদের বক্তব্য, ঠাণ্ডা, শ্বেতকায় বামনের মত এই ‘প্রাক্তন’ গ্রহটির (এখন প্লুটোকে উপগ্রহের তালিকায় ফেলা হয়েছে) বায়ুমণ্ডল একটি রূপান্তরের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। প্লুটোর ওপরের বায়ুমণ্ডলে পাতলা যে স্তর রয়েছে, যেখানে মূলত রয়েছে নাইট্রোজেন, সেই স্তরটি বদলে যাচ্ছে। মানে মহাকাশবিজ্ঞানীদের বক্তব্য, সুর্যের থেকে আরও দূরত্বে চলে যাচ্ছে প্লুটো। সেই কারণে আরও ঠাণ্ডা হয়ে যাচ্ছে সে। সাউথওয়েস্ট রিসার্চ সংস্থার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন এই তথ্য। তাদের বিশ্লেষণ, যে নাইট্রোজেন প্লুটোকে উষ্ণ রাখত এত বছর ধরে, সেটা এখন ঠাণ্ডা হচ্ছে। সুর্যকে প্রদক্ষিণ করতে প্লুটো ২৪৮ বছর সময় নেয়।