বন্য প্রাণীরাও ট্রমার সম্মুখীন হয়

বন্য প্রাণীরাও ট্রমার সম্মুখীন হয়

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ২৮ অক্টোবর, ২০২৪

শৈশবে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা বা ট্রমার সম্মুখীন হলে তার প্রভাব আমাদের স্বাস্থ্য এবং সুস্থতার উপর দীর্ঘস্থায়ী হয়ে দেখা দিতে পারে। মনোবিজ্ঞানীরা প্রায়শই মানুষের মধ্যে এই ধরনের প্রতিকূলতার পরিণতি নিয়ে গবেষণা চালিয়ে গেছেন। সম্প্রতি তারা জানিয়েছেন প্রাণীকুলেও এর প্রভাব অনুভূত হয়। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যদি কোনো কুকুর এই অপব্যবহার বা অবহেলার অভিজ্ঞতা লাভ করে তবে তা তার আচরণকেও প্রভাবিত করে। পোষা এই প্রাণীগুলো আরও বেশি ক্ষুব্ধ বা প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে যায়। আসলে গবেষকরা দেখতে আগ্রহী ছিলেন জীবনের প্রথম দিকে প্রতিকূল অভিজ্ঞতা কীভাবে প্রাণীদের আচরণ, তাদের সিদ্ধান্ত নেওয়া বা আশপাশের পরিবেশের সাথে তাদের সম্পর্ক, বেঁচে থাকার উপায়কে প্রভাবিত করে। বন্য প্রাণীরা বিভিন্ন ধরনের চাপের সম্মুখীন হয়। তারা খাবারের জন্য লড়াই করে, শিকারীদের থেকে নিজেদের রক্ষা করে, অসুস্থতায় ভোগে এবং চরম আবহাওয়ার সাথেও লড়াই করে। বন্য প্রাণীদের জীবন যথেষ্ট কঠিন, তার উপর মানুষের কারণে পরিবেশ দূষণ বা বাসস্থানের অভাব তাদের অতিরিক্ত চাপের মুখে ফেলে দেয়। জীববৈচিত্র্যের এই ব্যাপক ক্ষতির পরিপ্রেক্ষিতে, প্রাণীরা কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায় এবং এই চাপের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ হয় তা বোঝা সংরক্ষণ গোষ্ঠীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই গবেষকরা শৈশবে মানসিক আঘাত মানুষকে কীভাবে প্রভাবিত করে তার উপর ভিত্তি করে বন্য প্রাণীদের জন্য একটি সূচক তৈরি করার চেষ্টা করেছেন। গবেষকরা মনে করেন এই সূচকের মাধ্যমে তারা ঝুঁকিপূর্ণ প্রাণীদের শনাক্ত করবেন ফলে তাত্ক্ষণিক সংরক্ষণ ব্যবস্থাও নিতে পারবেন। যদিও এই সূচকটি এখনও প্রাথমিক বিকাশের স্তরে রয়েছে, তবে ভবিষ্যতে এটি আরও ফলপ্রসূ হতে পারে বলে গবেষকদের ধারণা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen − 5 =