বহুজাতিক সংস্থার বিরুদ্ধে ‘গ্রিনওয়াশিং’-এর অভিযোগ

বহুজাতিক সংস্থার বিরুদ্ধে ‘গ্রিনওয়াশিং’-এর অভিযোগ

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা।
Posted on ৮ জুলাই, ২০২২

একাধিক বহুজাতিক ব্যবসায় সংস্থার বিরুদ্ধে এবার ‘গ্রিনওয়াশিং’-এর অভিযোগ উঠল! যে বহুজাতিক সংস্থাগুলোর মধ্যে কোকাকোলা, ওয়ালমার্ট, ইউনিলিভার, ম্যাকডোনাল্ডসের মত জনপ্রিয় কোম্পানি।
গ্রিনওয়াশিং কী? সহজভাবে, গ্রিনওয়াশিং মানে বিশ্বজুড়ে প্লাস্টিক হঠিয়ে সবুজ বিপ্লবের যে নানারকমের অভিযান চলছে সেখানে বিশ্বখ্যাত এই বহুজাতিক সংস্থাগুলোও দেখাচ্ছে তারা সবুজ বিপ্লবে আছে। তাই তাদের বিভিন্ন রকমের বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করা হচ্ছে পরিবেশবান্ধব, কার্বননিউট্রাল, সাসটেনেবল-এর মতো শব্দবন্ধ। কিন্তু আন্তর্জাতিক পরিবেশ সংস্থা প্লাস্টিক প্ল্যানেটের সাম্প্রতিক সমীক্ষা অনুযায়ী আদতে এই বহুজাতিক কোম্পানিগুলো কোনও সবুজ বিপ্লবে নেই। পুরোটাই বিজ্ঞাপনী প্রতারণা! কোম্পানিগুলো আসলে ‘গ্রিন-মুভমেন্টকে’ ওয়াশ করে ‘গ্রিনওয়াশিং’ করে দিচ্ছে!
এবছরের জানুয়ারিতে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল দ্য ইন্টারন্যাশনাল কনজিউমার প্রোটেকশন এনফোর্সমেন্ট নেটওয়ার্ক। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পোশাক, প্রসাধনী, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং শিল্পজাত পণ্য প্রস্তুতকারক সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞাপনের সত্যতা যাচাই করাই ছিল এই সমীক্ষার প্রধান লক্ষ্য। সেখান থেকেই উঠে এসেছিল অন্তত পাঁচশো বিখ্যাত বহুজাতিক সংস্থা প্রতারণার জাল বিছিয়েছে ‘পরিবেশবান্ধব’ কথাটিকে সামনে রেখে। পরিবেশ দূষণরোধে ৪০ শতাংশ সংস্থার ক্ষেত্রেই তাদের দাবি সম্পূর্ণ ভুয়ো। এই তালিকাতে নথিভুক্ত হয়েছে কোকাকোলা-সহ আরও বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় কোম্পানির নাম।
প্লাস্টিক প্ল্যানেটের পর্যবেক্ষণ, পুনর্ব্যবহার কিংবা প্লাস্টিক বর্জ্যের প্রক্রিয়াকরণ তো দূরের কথা, বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড়ো প্লাস্টিক দূষকের উৎপাদক কোকাকোলা। ব্রেক ফ্রি ফ্রম প্লাস্টিক ব্র্যান্ড-এর অডিটের দেওয়া তথ্যও জানিয়েছে কোকাকোলা প্লাস্টিক দূষণে অন্যতম উৎপাদনকারী। তবে শুধু কোকাকোলা নয়, তার সঙ্গে রয়েছে ইউনিলিভার, ওয়ালমার্ট, কোল, ম্যাকডোনাল্ডসের মতো সংস্থাও। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নেমেছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক গ্রাহক সুরক্ষা সংস্থা। এখন দেখার আদৌ এই প্রতারণায় ইতি পড়ে কি না।