বাংলাদেশ কৃষির নয়া আবিষ্কার

বাংলাদেশ কৃষির নয়া আবিষ্কার

অর্পন নস্কর
Posted on ৮ জানুয়ারী, ২০২২

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের বিজ্ঞানীরা ধান কাটার এক নতুন যন্ত্র স্থানীয়ভাবে তৈরি করেছেন- যন্ত্রটির নাম দেওয়া হয়েছে কম্বাইন্ড হারভেস্টার। গত ৩১ শে ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক ভাবে ইন্সটিটিউটে উদ্বোধন করা হয় যন্ত্রটি। ইন্সটিটিউটের বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন প্রচলিত যন্ত্রের চাইতে এই হারভেস্টারের ধান কাটার ক্ষমতা বেশি, সেই সাথে দাম প্রচলিত হারভেস্টারের অর্ধেক। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো এই নতুন হারভেস্টার ছোটো জমির ধান কাটতে পারদর্শী।

করোনা সংক্রমণের ফলে শ্রমিক সংকটের কারণে হারভেস্টারের জনপ্রিয়তা রয়েছে। তবে মুশকিল হচ্ছে জমিতে আল দেওয়ার কারণে জমির আকার ছোটো হয়। এরফলে প্রচলিত ধান কাটার যন্ত্রে ধান কাটতে অসুবিধা হয়। এছাড়া প্রচলিত যে ধান কাটার যন্ত্র, তার দাম অনেকটাই বেশি। গবেষণা প্রকল্পের পরিচালক এ কে এম সাইফুল ইসলাম বলেন, যন্ত্র উদ্ভাবনে তারা ১৯ টি বিশেষ দিকে গুরুত্ব দিয়েছেন। যেমন-

ক) ঘন্টায় হারভেস্টারটি তিন থেকে চার বিঘে জমির ধান কাটতে সক্ষম

খ) জ্বালানি খরচ ঘন্টায় ৪ লিটার

গ) দাম ১২ থেকে ১৩ লাখ টাকা। যেখানে প্রচলিত হারভেস্টারের দাম ২৫ থেকে ৩০ লাখ।
ঘ) কাদায় চলবে এই যন্ত্র
ঙ) ধান কাটার সময় শস্য নষ্ট হবে ১ শতাংশেরও কম- ইত্যাদি।
প্রকল্প পরিচালক মি. ইসলাম বলেছেন, চুয়াডাঙ্গার নুরনগরে পরীক্ষা করা হয়েছে নতুন হারভেস্টারটি। প্রাথমিক পরীক্ষায় হারভেস্টারের কার্যকরী হিসেবেই প্রমানিত হয়েছে। হারভেস্টারটি বাণিজ্যিক ভাবে উৎপাদন করতে পারলে দেশের কৃষি ব্যবস্থায় যথেষ্ট ভূমিকা রাখবে যন্ত্রটি। এই যন্ত্রটি ব্যবহার করলে কৃষিক্ষেত্রে সময়, খরচ, শ্রম তিনই বাঁচবে।
তবে মুশকিল হলো এক্ষুনি যন্ত্রটি বাজারে পাওয়ার সম্ভবনা নেই। এবং এই যন্ত্রের বাণিজ্যিক উৎপাদনের জন্য যে ধরণের প্লান্ট দরকার, সেরকম একটি প্লান্ট বানাতে প্রায় ১০০ কোটি টাকা দরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen − 8 =