প্রাচীন এবং জনপ্রিয় বিট্রিশ সংবাদপত্র গার্ডিয়ানের একটি রিপোর্ট। তাতেই বিশ্বজুড়ে পরিবেশবিদরা আতঙ্কিত! রিপোর্ট জানিয়ে দিয়েছে কীভাবে বাণিজ্যিক মুনাফার লোভে বিভিন্ন পুঁজিবাদী দেশ ও শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো। বিগত কয়েক মাস ধরেই আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী। গার্ডিয়ান বলছে, এই পরিস্থিতিকেই মুনাফা লাভের কাজে লাগাতে চাইছেন শিল্পপতিরা। এর ফলে সামগ্রিকভাবে জ্বালানি তেলের ব্যবহার কমিয়ে আনা তো দূরস্থান, বরং আরও বেশি করে চাহিদা বাড়ানোর দিকেই নজর দিচ্ছেন তাঁরা। যার ফল পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তি উৎসের দিক থেকে নজর সরে গিয়েছে অনেকটাই। এর প্রতিফলন, কার্বন নিঃসরণের মাত্রা কমার বদলে আরও বেড়ে যাবে ২০৩০ সালের মধ্যে। গার্ডিয়ানের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ প্রায় দেড়গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।
এর পাশাপাশিই চলছে জীবাশ্ম জ্বালানি জমিয়ে রেখে কৃত্রিম চাহিদা তৈরির প্রক্রিয়া। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে জীবাশ্ম জ্বালানির জোগান কমেছে, এ-কথা সারা পৃথিবীতেই ছড়িয়ে পড়েছে। তবে গার্ডিয়ানের রিপোর্ট বলছে, জীবাশ্ম জ্বালানির যে পরিমাণ সংকট দেখা দিয়েছে, তা ইউক্রেনের মোট বার্ষিক উৎপাদনের চেয়েও বেশি। অতএব শুধুমাত্র যুদ্ধ কখনওই দায়ী হতে পারে না। অন্যদিকে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া বা আরব আমিরশাহীর মতো দেশগুলিতে খনিজ তেল প্রক্রিয়াকরণ চলছে। কিন্তু তা বাজারে আসছে না। বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে তেলের দাম আরও বাড়াতে চাইছেন ব্যবসায়ীরা। এর ফলে যে বিপুল পরিমাণ কার্বন জমা হচ্ছে, তাকে একটি ‘কার্বন বোমা’র সঙ্গেই তুলনা করছেন বিশেষজ্ঞরা। মাটির নিচে অপরিশোধিত খনিজ তেল থেকে বিষ্ফোরণের সম্ভাবনা অনেক কম। কিন্তু পরিশোধনের পর একবার তাতে বিষ্ফোরণ ঘটে গেলে গোটা পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যেতে পারে!