বানিজ্যিক চুম্বকে বদলে দিয়েছিলেন দুনিয়াকে

বানিজ্যিক চুম্বকে বদলে দিয়েছিলেন দুনিয়াকে

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

পিঙ্ক ফ্লয়েডের সেই বিখ্যাত গানের লাইন ‘ইন দ্য ওয়ার্ল্ড অফ ম্যাগনেটস অ্যান্ড মিরাকলস’। আজকের পৃথিবীতে এই গানের সঙ্গেই চলতে হচ্ছে মানুষকে। চুম্বকের দুনিয়ায় বাস করছে মানুষ। ইয়ারফোন থেকে শুরু করে কম্পিউটার, এসি, ফ্যান, মোটরগাড়ি, টেলিভিশন-সমস্ত দৈনন্দিন সরঞ্জামের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে স্থায়ী চুম্বক। চুম্বক উদ্ভাবক কে? প্রাচীন গ্রীক শেফার্ড ম্যাগনেস? তিনি আবিষ্কার করেছিলেন প্রাকৃতিক চুম্বক। কিন্তু যে চুম্বক সাধারণ মানুষ তাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করেন তার উদ্ভাবকের নাম মাসাতো সাগাওয়া। ১৯৮০-এ নিওডিমিয়ান, লোহা এবং বোরনের ব্যবহারে সাগাওয়া তৈরি করেছিলেন দৈনন্দিন জীবনের এই চুম্বক। যা শক্তিশালী চুম্বকীয় ক্ষমতার সঙ্গে তাপেও সহনশীল। যার ফলে আশির দশকের শুরু থেকে এই চুম্বকের ব্যবহার শুরু হয়েছিল বাণিজ্যিকভাবে। বদলে গিয়েছিল প্রযুক্তি দুনিয়ার ছবি। বর্তমানে এই চুম্বকের বাজার প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। মাসাতোর চুম্বক আবিষ্কারের আগেও চুম্বক আবিষ্কার হয়েছিল। মোটরেই আবিষ্কার হয়েছিল সেই চুম্বক, আরও এক দশক আগে। কিন্তু সেই চুম্বক তৈরি হয়েছিল সামারিয়াম-কোবাল্ট দিয়ে। যা ছিল খুব ব্যয়বহুল। তারপর, তাপমাত্রা নির্দিষ্ট পরিমাণের তুলনায় বেড়ে গেলে চুম্বক কাজ করত না। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান করলেন মাসাতো। মাসাতোর এই আবিষ্কার ব্যবহারিক দুনিয়ায় বিপ্লব এনে দিয়েছিল। কিন্তু মাসাতো তার কাজের স্বীকৃতি পেলেন আবিষ্কারের চার দশক পর। এবছর কুইন এলিজাবেথ পুরষ্কার তুলে দেওয়া হল মাসাতোর হাতে। এর আগে ২০১২-তে পেয়েছিলেন জাপানের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরষ্কার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nine − 4 =