বালি সঙ্কট- প্রভাব পরিবেশেও : প্রতিবেদন রাষ্ট্রপুঞ্জের

বালি সঙ্কট- প্রভাব পরিবেশেও : প্রতিবেদন রাষ্ট্রপুঞ্জের

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ৭ মে, ২০২২

বালির সঙ্কটের মুখোমুখি হতে চলেছে বিশ্ব। আর সে দিন যে খুব একটা দূরে নেই এমনই সতর্কবার্তা দিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। বালি ছাড়া নির্মাণ কাজের কথা ভাবাই যায় না। দৈনন্দিন জীবনে বালির চাহিদা প্রচুর। তাছাড়া সবচেয়ে বড় কথা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বালির ভূমিকা বিশাল। বিশেষ করে ঝড় রুখে দেওয়া, নদী এবং সমুদ্রের ক্ষয় রোধ করা, এবং বহু প্রাণীর আশ্রয়স্থল হিসেবে কাজ করে বালি। কিন্তু লাগাতার অবৈধ ভাবে বালি খননের ফলে সমুহ সংকটের মুখে পড়তে হবে বিশ্বকে। শুধু তাই না পরিবেশের ওপরেও এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। রাষ্ট্রপুঞ্জ জানাচ্ছে, সমুদ্র এবং নদীগর্ভ থেকে অবাধে অবৈধ ও অবৈজ্ঞানিকভাবে বালি খননের ফলে এই সংকট। কারণ, যে গতিতে বালি তোলা হচ্ছে সেই হারে বালি সৃষ্টি হতে পারছে না। যে প্রাকৃতিক উপায়ের মধ্যে দিয়ে বালি তৈরি হয় সেই সময়ই দেওয়া হচ্ছে না। ইউনাইটেড নেশনস এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম -এর অধিকর্তা শীল অগ্রবাল খান বলেছেন, “যদি আমরা এখনই এই বিষয়ে সতর্ক হই তাহলে বালি সংকট রোখা সম্ভব হতে পারে৷” সমীক্ষা বলছে গত দু দশকের মধ্যে কাচ, কংক্রিট এবং এবং নির্মাণ সামগ্রীর ব্যবহার গোটা বিশ্বে তিন গুন বেড়েছে। আর গত এক বছরের মধ্যে বালির ব্যবহার বেড়ে হয়েছে ৫ হাজার কোটি টন। এই ব্যবহার বৃদ্ধির ফল স্বরূপ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নদী, উপকুলরেখা। এমনকি এর ফলে ছোটো দ্বীপগুলি পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। রাষ্ট্রপুঞ্জের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে বড় নদী মেকং থেকে ক্রমাগত নদী বালি তোলার ফলে বহু দ্বীপ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে। উর্বর জমিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে লবনের মাত্রা।