বাড়তি কার্বনের সমাধি কি সমুদ্রের নীচে?

বাড়তি কার্বনের সমাধি কি সমুদ্রের নীচে?

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌
Posted on ৩ ডিসেম্বর, ২০২২

বলিষ্ঠভাবে এখনও জলবায়ু সংকটের মোকাবিলার কোনও উপায় আমরা খুঁজে পাইনি। ফলে চূড়ান্ত কিছু পদক্ষেপের কথাই ভাবছেন বিজ্ঞানীরা। খতিয়ে দেখা হচ্ছে এমন সম্ভাবনা যা সাধারণভাবে অসম্ভব বা তীব্র উচ্চাকাঙ্ক্ষী মনে হতে পারে।
অ্যামেরিকার শক্তি মন্ত্রকের অধীনে প্যাসিফিক নর্থওয়েস্ট ন্যাশানাল ল্যাবরেটরির বিজ্ঞানী মাইকেল হোচেলা বলছেন, এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে সময়ই হচ্ছে সারকথা। উনি আরও বলছেন, বাড়তে থাকা উষ্ণতায় লাগাম টানতে পৃথিবীব্যাপী কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা কমানো দরকার। সমস্ত উপায় সন্ধান করার পর, দেখা যাচ্ছে সাগর-মহাসাগরগুলোকে যদি কার্বনের বেসিন সিঙ্ক হিসেবে কাজে লাগানো যায়। হোচেলার মতে, সেটাই পৃথিবীকে ঠাণ্ডা করার সবচেয়ে ভালো সুযোগ।
সমুদ্রের উপরিতলে একটা অণুজীব ভেসে বেড়ায়। এরা সালোকসংশ্লেষ করে – ফাইটোপ্ল্যাক্টন। কার্বন চক্রে বাতাস থেকে কার্বন শোষণ করে সমুদ্রের গভীরে জমা করতে এই অণুজীবই আস্তিনের টেক্কা। ওদের কাজটা অনেকটাই পাম্পের মতো।
যদিও, লৌহের মতো খনিজের উপস্থিতি না থাকলে এই অতিক্ষুদ্র জীবের পক্ষে বিকশিত হওয়া বা সংখ্যাবৃদ্ধি করা সম্ভব নয়। কিন্তু সমুদ্রের জলে লোহার পরিমাণ নির্দিষ্ট। ফলে কতটা বড় হবে ফাইটোপ্ল্যাক্টনের কলোনি সেটা অনেকটাই সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে।
এখানেই বিজ্ঞানীদের কেরামতি। মাটিতে ফসলের দেহের বিকাশের জন্য যেমন সার প্রয়োগ করা হয়, তেমনই সমুদ্রের জলেও হতে পারে। যদিও এটা এখনও শ্রেফ চিন্তাভাবনার স্তরেই আছে। কিন্তু উপযুক্ত পদার্থের প্রয়োগে ফাইটোপ্ল্যাক্টনের বিকাশ আশার আলো দেখাচ্ছে বিজ্ঞানীদের।
নেচার পত্রিকার ন্যানোটেকনোলজি বিভাগে প্রকাশিত হল এই গবেষণার খবর।