বাড়ি ঠাণ্ডা রাখতে কংক্রিটের গায়ে শ্যাওলা!

বাড়ি ঠাণ্ডা রাখতে কংক্রিটের গায়ে শ্যাওলা!

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১৩ মে, ২০২২

কংক্রিটের গায়ে শ্যাওলা মানেই বাড়ির স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায়। স্থপতিদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়তে থাকে। শ্যাওলা আটকানোর জন্য বিভিন্ন কোম্পানি বাজারে এনেছে নিত্যনতুন প্রোডাক্ট। কিন্তু সম্পূর্ণ উল্টো পথে হাঁটছে একটি ডাচ কোম্পানি। কোম্পানির নাম রেস্পায়ার। বাড়ি বানানোর জন্য তারা বেছে নিয়েছে বায়ো-রিসেপ্টিভ কংক্রিট। যার উপর সহজেই গজিয়ে উঠবে শ্যাওলা। কিন্তু তৈরি হবে পরিবেশবান্ধব স্থাপত্য। টিম ‘রেস্পায়ারে’র নেতা অক ব্লেইজের মতে, শিকড় না-ছড়ানোর জন্য শ্যাওলা বাড়ির ক্ষতিও করে না। বরং একরকম মজবুত হয় বাড়ির ভিত। সর্বোপরি, কার্বন ডাই অক্সাইড শুষে নিয়ে চারপাশের বাতাসকে পরিশ্রুত রাখে শ্যাওলা। যে কারণে কড়া রৌদ্রের তাপে তেতে ওঠে না ঘরের দেয়াল। সবুজ ঢাল উঁচিয়ে ঘরকে ঠান্ডা রাখে শ্যাওলার আস্তরণ। এছাড়া এই সবুজ-দেয়ালের আলাদাভাবে রক্ষণাবেক্ষণেরও প্রয়োজন নেই। কেবল মাঝেমধ্যে হালকা জল ছড়িয়ে দিলেই হল। ‘রেস্পায়ার’ তাদের প্রজেক্টের জন্য বেছে নিয়েছে পুনর্ব্যবহারযোগ্য কংক্রিট। বাধা যে প্রথমে আসেনি তা নয়। কিন্তু তারা হাল ছাড়েনি। এবার তাদের লক্ষ্য এই বায়ো-রিসেপ্টিভ কংক্রিটকে সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে এনে ফেলা। পরিবেশবান্ধব সবুজ বাড়ি গড়ে তোলার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে কয়েক কদম এগিয়ে গিয়েছে রেস্পায়ার। আমস্টারডামের রিভিরেনবুর্ট অঞ্চলে বেশ কিছু কংক্রিটের বারান্দা ভরে গিয়েছে শ্যাওলায়। এছাড়াও আরও এক ডাচ কোম্পানির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে তারা। সেই কোম্পানি তৈরি করে উইন্ড-টারবাইন। সেগুলোও শীঘ্রই ঢেকে যাবে শ্যাওলায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen + 5 =