বিপর্যস্ত পশুপালকেরা

বিপর্যস্ত পশুপালকেরা

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা।
Posted on ৩০ জুলাই, ২০২২

গাধার পিঠে চাপানো জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনী বড়য় সামান্য কিছু সামগ্রী, কিছু শুকনো খাবার। তার পিছনে দু-তিনটে গরুর গাড়ি। তাতে বোঝাই গোটা কুড়ি ছাগল ও ভেড়া। তবে প্রত্যেকটি পশুর শরীরই জীর্ণ। দেখেই বোঝা যায় বহুদিন ঠিকমতো খাবার জোটেনি তাদের। কিন্তু গবাদি পশুর এই বিশাল পাল নিয়ে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত উদভ্রান্তের মত ছুটতে হয় তরুণ পশুপালকদের! কারণ জলবায়ুর চরম পরিবর্তন এবং বিশ্ব উষ্ণায়নের ধাক্কায় বৃষ্টি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যার ফলে ঘাস পায় না এই পশুপালকরা। এই ছবি সেনেগালের উত্তর সাহেলিয়ান অঞ্চলে। বিপন্ন হয়ে পড়েছে প্রান্তিক মানুষদের জীবন।
শীত ও গ্রীষ্মের পর জুলাইয়ে বৃষ্টি হত সেনেগাল। সবুজ হয়ে উঠত দেশের চারণভূমিগুলি। নদীগুলোও ভরে উঠত জলে। কিন্তু গত চার-পাঁচ বছরে বৃষ্টি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। শুকিয়ে কাঠ উত্তরের তৃণভূমিগুলি। ফলে বাধ্য হয়েই, পশুর দলবল নিয়ে দেশের দক্ষিণে দৌড়াতে হচ্ছে পশুপালকদের। তবে সেটাও সহজ কাজ নয়। প্রথমত, এই বিপুল সংখ্যক পশু নিয়ে দীর্ঘপথ পাড়ি দেওয়া যথেষ্ট সময়সাধ্য ব্যাপার। কখনও এক মাস থেকে দেড় মাস পর্যন্ত সময় লেগে যায় গোটা সেনাগাল পেরতে। কারণ এবড়োখেবড়ো মেঠো পথ ভাঙতে হয় তাঁদের। কিছু জায়গায় পাকা রাস্তা থাকলেও, সেখানে পশু নিয়ে চলার অনুমতি নেই। পাশাপাশি দীর্ঘদিন বাড়ির বাইরে থাকা বেশ খরচসাপেক্ষ ব্যাপারও বটে। দক্ষিণে গিয়ে যথেষ্ট পরিমাণ চারণক্ষেত্র পাওয়া যাবে কিনা, নিশ্চয়তা নেই তারও। পথে মৃত্যুর মুখেও ঢলে পড়ছে বহু পশু। সবমিলিয়ে এক কঠিন পরিস্থিতির দোরগোড়ায় তাঁরা।