ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অফ নেচার (আইইউসিএন) একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। তালিকায় দেখা গিয়েছে, ক্রমশ বিলুপ্ত হওয়ার পথে হাঙ্গররা! হাঙ্গরদের অনেক রকমের প্রজাতি রয়েছে। সমস্ত প্রজাতি মিলিয়ে অন্তত ৩৭ শতাংশ হাঙ্গর ক্রমশ বিলুপ্ত হওয়ার পথে! কারণ, আবহাওয়ার ব্যাপক পরিবর্তন।
টুনা প্রজাতির মাছও গত শতাব্দীতে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু আইইউসিএনের উদ্যোগে টুনা মাছের পুনর্জীবন লাভ হয়েছে। কিন্তু হাঙ্গরদের ক্ষেত্রে এই সংস্থা দায়ী করছে দেশগুলোকে। আইইউসিএন-এর ডিরেক্টর ব্রুনো ওবেরলে বলেছেন, “সমুদ্রের ওপর প্রতিনিয়ত চাপ বাড়ছে। তবু বলছি, হাঙ্গরদের অনেক প্রজাতিকে বাঁচানো যায়। কিন্তু তার জন্য দেশগুলোকে ইচ্ছুক হতে হবে। অনেক বিরল প্রজাতির হাঙ্গরও রয়েছে। তাদের বেঁচে থাকার জন্য দেশগুলোকে এক হয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে।”
আইসিইউএন-এর তালিকায় আরও এক বিরল প্রজাতির প্রাণী রয়েছে যারা বিলুপ্ত হওয়ার পথে। পৃথিবীর বৃহত্তম জীবিত টিকটিকি কমোডো ড্রাগন। আবহাওয়ার পরিবর্তনেই এই বিরল প্রাণীটি হারিয়ে যাচ্ছে। আইসিইউএন জানাচ্ছে, সমুদ্রের স্তর ক্রমশ বাড়তে থাকার জন্যই এই কমোডোকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সমুদ্রস্তরের যে উচ্চতায় এই টিকটিকি বেঁচে থাকে, আইসিইউএন-এর গবেষকদের মতে, সমুদ্রস্তর সেই উচ্চতা থেকে ৩০ শতাংশ নামতে পারে ভবিষ্যতে। কিন্তু তার জন্য সময় লাগতে পারে আগামী ৪৫ বছর! ততদিন কি কমোডো থাকবে পৃথিবীর বুকে? আইসিইউএন বলছে খুব কঠিন!