বিশ্বজুড়েই ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে ঈগলের সংখ্যা। অথচ, উত্তর আমেরিকায় পালকহীন ঈগল প্রজাতির সংরক্ষণের খবর দেশজুড়ে ফলাও করে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণা জানিয়েছে, বিশ্বজুড়ে র্যাপটর প্রজাতির ঈগল ছিল ৫৫৭টা। তার মধ্যে ৩০ শতাংশ আগেই কমে গিয়েছিল! এখন সেটা আরও ক্রমশ বাড়ছে। পাখিবিজ্ঞানীরা বলছেন, ক্রমাগত আবহাওয়া পরিবর্তন, সামগ্রিকভাবে উষ্ণায়নের পরিমাণ বাড়তে থাকা– এগুলোই অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে ঈগলের ক্রমশ বিলুপ্ত হওয়ার পেছনে। জেরার্ডো সেবালস, মেক্সিকোর ন্যাশনাল অটোনোমাস বিশ্ববিদ্যালয়ের পাখিবিজ্ঞানী। তিনি শুধু বিলুপ্ত হওয়ার কথা বলেননি, আরও গুরুত্বপূর্ণ একটা ছবি তুলে ধরেছেন যা সাধারণ মানুষের কাছে বোধগম্য হতে পারে। চিল বা বাজপাখির মতোই, ঈগলেরও ছোঁ মেরে ওপর থেকে ডাইভ দিয়ে নেমে বিদ্যুৎগতিতে শিকার নিয়ে চলে যাওয়ার ছবিটাও বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। সেবালস জানাচ্ছেন, আবহাওয়ার পরিবর্তন আর উষ্ণায়নের জন্য ঈগলের অন্য প্রজাতিরাও ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। আরও গুরুত্বপূর্ণ, বেঁচে থাকলেও ঈগলের সেই আগেকার চেনা হিংস্রতার ছবি আর দেখা যাবে কি না সন্দেহ আছে! এরা এরপরে হয়তো কোনওরকমে বেঁচে থাকবে। ২০১৮-র গবেষণা অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে ঈগল পাখির সংখ্যা ৫২ শতাংশ কমে গিয়েছে!