গ্লাসগোয় ক্লাইমেট চেঞ্জিং কনফারেন্সে (সিওপি-২৬) রাষ্ট্রনেতাদের উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময়
মাইক্রোসফটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের মুখে ‘গ্রিন প্রিমিয়ামের কথা। যে উপাদান থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গত হয় সেই উপাদানের দামের সঙ্গে যে উপাদান থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ হয় না তার দামের তফাৎ বার করার কাজের নাম বিল গেটস দিয়েছেন গ্রিন প্রিমিয়াম। পৃথিবীর অন্যতম এই ধনকুবের, যার তৈরি করা সংগঠন পরিবেশ ও আবহাওয়া পরিবর্তন প্রতিরোধের কাজে দক্ষিণ আফ্রিকায় ১০ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করছে সেই বিল গেটসের মতে ক্লাইমেট বদল রুখতে সকলের আগে প্রয়োজন কৃষিকাজে মারাত্মক ইনোভেশন। না হলে তার কথায়, “২০৫০-এর মধ্যেও উষ্ণায়নকে এতটুকু নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে না!” গেটস বলছেন, “আমাদের আসলে বোঝাতে হবে গরিব চাষিদের। ক্লাইমেট বদলের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াতে হবে গরিব চাষিদের। ওদের দারিদ্র্য না ঘুচলে উষ্ণায়ন থামানোর আন্দোলন সফল হবে না।” একইসঙ্গে গেটস জানিয়ে দেন, এই উদ্দেশেই গেটস ফাউন্ডেশন কাজ করে যাচ্ছে। আমেরিকা এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে শুরু হয়েছিল। এখন আরও ৩০টি দেশে তার সংস্থা কৃষিতে ‘কার্বন-হীন সবুজ বিপ্লব’ আনার কাজ করে যাচ্ছে। সঙ্গে রয়েছে দেশগুলোর অধিকাংশ গরিব চাষি ও দিনমজুর। আগামি ৩ বছরে গেটস ফাউন্ডেশনের অঙ্গীকার ৩১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশগুলোকে দান করা উষ্ণায়ন কমানোর কাজে।