সূর্য নিয়ে কিছু কথা
মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির এক ক্ষুদ্র, নগণ্য সদস্য সূর্য; আর তার চেয়ে অনেক অনেক ক্ষুদ্র কিছু গ্রহ ঘুরে চলেছে সূর্যের চারপাশে। সেই গ্রহগুলোর মধ্যে মাঝারি আকারের একটি গ্রহের বাসিন্দা আমরা। এই সবকিছু নিয়েই সৌরজগত। সৌরজগতের মধ্যেই আমাদের পৃথিবীর স্থান কত অকিঞ্চিৎকর, তাহলে মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিতে আমরা কোথায়?
আজ থেকে চারশো ষাট কোটি বছর আগে, বিরাট আকারের একটা গ্যাসের পিণ্ড (তার নাম ‘সোলার নেবুলা’। তার মধ্যে ধুলোর কণাও ছিল) একত্রিত হয়ে কিছু প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে রূপান্তরিত হয়ে পরিণত হল এই সূর্য আর তার ছানাপোনা হিসেবে। সেই গোটা পরিবর্তনের প্রক্রিয়াটি আমরা এই ধারাবাহিকেই পরের দিকে আরও বিস্তারিত আলোচনা করব। আটটা বড় দলা পরিচিতি লাভ করল গ্রহ হিসেবে, আর বেশ কিছু নানান আকারের ছোট দলা রয়ে গেল ছড়িয়েছিটিয়ে, সেগুলোর মধ্যে যেগুলো একটু বড় আকারের, তাদের নাম হল বামন গ্রহ (Dwarf planet), এবং আরও ছোটদের নাম দেওয়া হল গ্রহাণু (Asteroid)। বামন গ্রহ কথাটা অবশ্য চালু হয়েছে কিছু পরে। প্লুটো আগে গ্রহদের দলে বসতে পারত, তাকে বেচারা আলাদা করে বামন গ্রহ বানিয়ে দেওয়া হয়েছে ২০০৬ সাল থেকে। এখন সে, এবং আরও তিনজন— ‘এরিস’, ‘সেরেস’ আর ‘হমিয়া’, এই মোট চারজন হল বামন গ্রহ। আর একটা তথ্য এখানে দিয়ে নেওয়া যাক, সূর্যের কাছের চারটি গ্রহ-বুধ-শুক্র-পৃথিবী আর মঙ্গল কঠিন পাথুরে উপাদানে তৈরি, পরের চারটির উপাদান গ্যাসীয় এবং তরলের মিশ্রণ। সূর্যের প্রচণ্ড তাপ সহ্য করতে পারে কাছের গ্রহগুলো, তারা কঠিন বস্তু বলেই। দূরের গ্রহরা দূরে আছে বলে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা। অন্য গ্রহগুলিতে প্রাণের উদ্ভব বা বিকাশ কেন সম্ভবপর হয়নি, বা অদূর ভবিষ্যতে হবে না, সে প্রসঙ্গে আমরা পরে ফিরে আসব।
২/
সূর্য এই বিরাট পরিবারের অধিকর্তা, তার জন্যেই সবকিছুর টিকে থাকা। সূর্য, পাঁচশো কোটি বছর (ঠিকঠাক বললে আরশো ষাট কোটি বছর) বয়সী এক মাঝারি আকারের নক্ষত্র, যার আয়ু এখনও আরও প্রায় পাঁচশো কোটি বছর। জীবদ্দশায় সূর্যের উজ্জ্বলতা কমে যাওয়া দেখবার সুযোগ আমাদের হবে না। শেষের দিকে আমাদের কাছের এই নক্ষত্রটির কী হাল হবে, সে আরও বিস্তারিতভাবে আলোচনার বিষয়।
সূর্য আরও কিছু দিক থেকেও মাঝারি মানের। যেমন এর আকার। মহাকাশে তারা বা নক্ষত্র রয়েছে অগুনতি, সে সবের আকারেও বেশ বৈচিত্র্য। সূর্যের সঙ্গে তুলনা করলে কেউ একশো গুণ বড়, আবার কেউ একশো ভাগের এক ভাগ। এটাও আমাদের জানা যে সূর্যের ভর তার চারপাশে পাক খাওয়া সমস্ত গ্রহের ভরের চেয়ে অনেক গুণ বেশি। আকারও তাই অনেক বেশি। একশো ন-খানা পৃথিবীকে পাশাপাশি রাখলে তবে তারা সূর্যের একটা দিক থেকে অন্য দিককে ছুঁতে পারবে। আর সূর্যের মধ্যে যা স্থান রয়েছে, অর্থাৎ সূর্যের যা আয়তন, সেখানে তেরো লক্ষ পৃথিবীকে ঢুকিয়ে দেওয়া যায়। শুধু পৃথিবী কেন, সূর্যের মোট ভরের তুলনায় সব গ্রহের মিলিত ভরও নস্যি। সৌরমণ্ডলের মোট ভরের ৯৯.৮ শতাংশ ভরই সূর্যের কারণে!
মনে এই প্রশ্ন উঠতেই পারে, সৌরজগতের বয়স কেমন করে হিসেব করলেন বিজ্ঞানীরা?
রাতের আকাশে কখনও কখনও আমরা নিশ্চয়ই দেখেছি, অন্ধকারের বুক চিরে ছুটে যাচ্ছে আলোর এক একটা রেখা। যেন কেউ হাউই ওড়াচ্ছে আকাশের বুকে। ওই গতিশীল আলোর রেখা আসলে উল্কাপাতের কারণে। পৃথিবীর বুকেও, আমরা জানি মাঝেমধ্যেই এসে পড়ে উল্কা, বা মহাকাশ-ফেরত ক্ষুদ্র পাথরের চাঁই।
এগুলোর প্রায় সবগুলোই মহাকাশে ভেসে বেড়ানো বিভিন্ন গ্রহাণুর ভাঙা অংশ। যতক্ষণ তারা আকাশে ভাসমান বা গতিশীল, ততক্ষণ গ্রহাণু। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করলে ওরা উল্কা। বহু উল্কা আবার বায়ুমণ্ডলেই ঘর্ষণে জ্বলে ছাই হয়ে যায়, কোনও কোনওটা টিকে যায়। সেগুলোই মাটিতে পড়লে গভীর গর্ত, আরও কোনও জনবহুল এলাকায় পড়লে? ধ্বংসাত্মক। এক একটা উল্কার আকার হতে পারে পাথরের চাইয়ের মতো। কখনও একটা মাঠের মতো এলাকা জুড়ে তার বিস্তার, আর তার আঘাতে তৈরি হয় প্রায় দুশো মিটার গভীর গর্ত! হ্যাঁ। উত্তর আমেরিকার অ্যারিজোনায় বহু বছর আগে এমনই এক মহা-উল্কা পড়ে তৈরি করেছিল ১.২ কিলোমিটার লম্বা আর অতটাই গভীর গর্ত। এখনও বিজ্ঞানীরা বলাবলি করেন, এই উল্কা আজকের দিনে পড়লে গোটা একটা শহরকে ধ্বংস করবার ক্ষমতা রাখত।
এই উল্কারাই বিজ্ঞানীদের দিয়ে থাকে নানান খবর। গ্রহাণু বা ধূমকেতুর মতো মহাকাশে যে বস্তুগুলি ভাসমান বা ঘূর্ণায়মান, সেগুলি আসলে কী দিয়ে তৈরি? সেগুলোর বয়স কীরকম, সে আন্দাজ পেয়ে থাকি এই উল্কাদের বিশ্লেষণ করেই। আর তা থেকে সৌরজগতের বয়স হিসেব করাটাও তাঁরা সম্ভবপর করেছেন। এছাড়া আরও অন্য উপায় আছে, সে সবও আমরা পরে আলোচনা করব। উল্কারা কত পুরনো হয় তার একটা উদাহরণ, এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে পুরনো যে উল্কাটা পৃথিবীতে এসে পৌঁছেছে, সেটার বয়স চারশো পঞ্চান্ন কোটি বছর। ১৯৬৯ সালে মেক্সিকোতে পড়েছিল ‘The Allende meteorite’ নামে এই উল্কাটি। তার মানে সৌরজগত তৈরির মাত্র পাঁচ কোটি বছর পরে জন্ম এই উল্কাটির!
বয়স হিসেব করবার পর যে প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ইচ্ছে হয়, তা হল, সৌরজগত ঠিক এইভাবেই তৈরি হল কী করে? আজ আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি যে সৌরজগতের মতো অন্য অনেক নক্ষত্রই আছে মহাকাশে, যেগুলোর চারপাশে ঘুরছে গ্রহরা। তবে সেসব গ্রহে প্রাণের কোনোরকম রূপের উদ্ভব ঘটেছে কি না, সে ব্যাপারে বিজ্ঞানীদের অনুসন্ধানের ফল এখনও পাওয়া যায় নি। কিন্তু আমাদের সূর্য ঠিক কী কারণে এতটা স্পেশাল হয়ে উঠল যে একসঙ্গে আট-আটটা গ্রহ তার চারপাশে ঘুরতে শুরু করল?
এই প্রশ্নের উত্তর আমরা দেওয়ার চেষ্টা করব, আগামী পর্বে।
অর্পণ পাল
পর্ব ৪। সূর্য নিয়ে কিছু কথা
মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির এক ক্ষুদ্র, নগণ্য সদস্য সূর্য; আর তার চেয়ে অনেক অনেক ক্ষুদ্র কিছু গ্রহ ঘুরে চলেছে সূর্যের চারপাশে। সেই গ্রহগুলোর মধ্যে মাঝারি আকারের একটি গ্রহের বাসিন্দা আমরা। এই সবকিছু নিয়েই সৌরজগত। সৌরজগতের মধ্যেই আমাদের পৃথিবীর স্থান কত অকিঞ্চিৎকর, তাহলে মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিতে আমরা কোথায়?
আজ থেকে চারশো ষাট কোটি বছর আগে, বিরাট আকারের একটা গ্যাসের পিণ্ড (তার নাম ‘সোলার নেবুলা’। তার মধ্যে ধুলোর কণাও ছিল) একত্রিত হয়ে কিছু প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে রূপান্তরিত হয়ে পরিণত হল এই সূর্য আর তার ছানাপোনা হিসেবে। সেই গোটা পরিবর্তনের প্রক্রিয়াটি আমরা এই ধারাবাহিকেই পরের দিকে আরও বিস্তারিত আলোচনা করব। আটটা বড় দলা পরিচিতি লাভ করল গ্রহ হিসেবে, আর বেশ কিছু নানান আকারের ছোট দলা রয়ে গেল ছড়িয়েছিটিয়ে, সেগুলোর মধ্যে যেগুলো একটু বড় আকারের, তাদের নাম হল বামন গ্রহ (Dwarf planet), এবং আরও ছোটদের নাম দেওয়া হল গ্রহাণু (Asteroid)। বামন গ্রহ কথাটা অবশ্য চালু হয়েছে কিছু পরে। প্লুটো আগে গ্রহদের দলে বসতে পারত, তাকে বেচারা আলাদা করে বামন গ্রহ বানিয়ে দেওয়া হয়েছে ২০০৬ সাল থেকে। এখন সে, এবং আরও তিনজন— ‘এরিস’, ‘সেরেস’ আর ‘হমিয়া’, এই মোট চারজন হল বামন গ্রহ। আর একটা তথ্য এখানে দিয়ে নেওয়া যাক, সূর্যের কাছের চারটি গ্রহ-বুধ-শুক্র-পৃথিবী আর মঙ্গল কঠিন পাথুরে উপাদানে তৈরি, পরের চারটির উপাদান গ্যাসীয় এবং তরলের মিশ্রণ। সূর্যের প্রচণ্ড তাপ সহ্য করতে পারে কাছের গ্রহগুলো, তারা কঠিন বস্তু বলেই। দূরের গ্রহরা দূরে আছে বলে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা। অন্য গ্রহগুলিতে প্রাণের উদ্ভব বা বিকাশ কেন সম্ভবপর হয়নি, বা অদূর ভবিষ্যতে হবে না, সে প্রসঙ্গে আমরা পরে ফিরে আসব।
২/
সূর্য এই বিরাট পরিবারের অধিকর্তা, তার জন্যেই সবকিছুর টিকে থাকা। সূর্য, পাঁচশো কোটি বছর (ঠিকঠাক বললে আরশো ষাট কোটি বছর) বয়সী এক মাঝারি আকারের নক্ষত্র, যার আয়ু এখনও আরও প্রায় পাঁচশো কোটি বছর। জীবদ্দশায় সূর্যের উজ্জ্বলতা কমে যাওয়া দেখবার সুযোগ আমাদের হবে না। শেষের দিকে আমাদের কাছের এই নক্ষত্রটির কী হাল হবে, সে আরও বিস্তারিতভাবে আলোচনার বিষয়।
সূর্য আরও কিছু দিক থেকেও মাঝারি মানের। যেমন এর আকার। মহাকাশে তারা বা নক্ষত্র রয়েছে অগুনতি, সে সবের আকারেও বেশ বৈচিত্র্য। সূর্যের সঙ্গে তুলনা করলে কেউ একশো গুণ বড়, আবার কেউ একশো ভাগের এক ভাগ। এটাও আমাদের জানা যে সূর্যের ভর তার চারপাশে পাক খাওয়া সমস্ত গ্রহের ভরের চেয়ে অনেক গুণ বেশি। আকারও তাই অনেক বেশি। একশো ন-খানা পৃথিবীকে পাশাপাশি রাখলে তবে তারা সূর্যের একটা দিক থেকে অন্য দিককে ছুঁতে পারবে। আর সূর্যের মধ্যে যা স্থান রয়েছে, অর্থাৎ সূর্যের যা আয়তন, সেখানে তেরো লক্ষ পৃথিবীকে ঢুকিয়ে দেওয়া যায়। শুধু পৃথিবী কেন, সূর্যের মোট ভরের তুলনায় সব গ্রহের মিলিত ভরও নস্যি। সৌরমণ্ডলের মোট ভরের ৯৯.৮ শতাংশ ভরই সূর্যের কারণে!
মনে এই প্রশ্ন উঠতেই পারে, সৌরজগতের বয়স কেমন করে হিসেব করলেন বিজ্ঞানীরা?
রাতের আকাশে কখনও কখনও আমরা নিশ্চয়ই দেখেছি, অন্ধকারের বুক চিরে ছুটে যাচ্ছে আলোর এক একটা রেখা। যেন কেউ হাউই ওড়াচ্ছে আকাশের বুকে। ওই গতিশীল আলোর রেখা আসলে উল্কাপাতের কারণে। পৃথিবীর বুকেও, আমরা জানি মাঝেমধ্যেই এসে পড়ে উল্কা, বা মহাকাশ-ফেরত ক্ষুদ্র পাথরের চাঁই।
এগুলোর প্রায় সবগুলোই মহাকাশে ভেসে বেড়ানো বিভিন্ন গ্রহাণুর ভাঙা অংশ। যতক্ষণ তারা আকাশে ভাসমান বা গতিশীল, ততক্ষণ গ্রহাণু। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করলে ওরা উল্কা। বহু উল্কা আবার বায়ুমণ্ডলেই ঘর্ষণে জ্বলে ছাই হয়ে যায়, কোনও কোনওটা টিকে যায়। সেগুলোই মাটিতে পড়লে গভীর গর্ত, আরও কোনও জনবহুল এলাকায় পড়লে? ধ্বংসাত্মক। এক একটা উল্কার আকার হতে পারে পাথরের চাইয়ের মতো। কখনও একটা মাঠের মতো এলাকা জুড়ে তার বিস্তার, আর তার আঘাতে তৈরি হয় প্রায় দুশো মিটার গভীর গর্ত! হ্যাঁ। উত্তর আমেরিকার অ্যারিজোনায় বহু বছর আগে এমনই এক মহা-উল্কা পড়ে তৈরি করেছিল ১.২ কিলোমিটার লম্বা আর অতটাই গভীর গর্ত। এখনও বিজ্ঞানীরা বলাবলি করেন, এই উল্কা আজকের দিনে পড়লে গোটা একটা শহরকে ধ্বংস করবার ক্ষমতা রাখত।
এই উল্কারাই বিজ্ঞানীদের দিয়ে থাকে নানান খবর। গ্রহাণু বা ধূমকেতুর মতো মহাকাশে যে বস্তুগুলি ভাসমান বা ঘূর্ণায়মান, সেগুলি আসলে কী দিয়ে তৈরি? সেগুলোর বয়স কীরকম, সে আন্দাজ পেয়ে থাকি এই উল্কাদের বিশ্লেষণ করেই। আর তা থেকে সৌরজগতের বয়স হিসেব করাটাও তাঁরা সম্ভবপর করেছেন। এছাড়া আরও অন্য উপায় আছে, সে সবও আমরা পরে আলোচনা করব। উল্কারা কত পুরনো হয় তার একটা উদাহরণ, এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে পুরনো যে উল্কাটা পৃথিবীতে এসে পৌঁছেছে, সেটার বয়স চারশো পঞ্চান্ন কোটি বছর। ১৯৬৯ সালে মেক্সিকোতে পড়েছিল ‘The Allende meteorite’ নামে এই উল্কাটি। তার মানে সৌরজগত তৈরির মাত্র পাঁচ কোটি বছর পরে জন্ম এই উল্কাটির!
বয়স হিসেব করবার পর যে প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ইচ্ছে হয়, তা হল, সৌরজগত ঠিক এইভাবেই তৈরি হল কী করে? আজ আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি যে সৌরজগতের মতো অন্য অনেক নক্ষত্রই আছে মহাকাশে, যেগুলোর চারপাশে ঘুরছে গ্রহরা। তবে সেসব গ্রহে প্রাণের কোনোরকম রূপের উদ্ভব ঘটেছে কি না, সে ব্যাপারে বিজ্ঞানীদের অনুসন্ধানের ফল এখনও পাওয়া যায় নি। কিন্তু আমাদের সূর্য ঠিক কী কারণে এতটা স্পেশাল হয়ে উঠল যে একসঙ্গে আট-আটটা গ্রহ তার চারপাশে ঘুরতে শুরু করল?
এই প্রশ্নের উত্তর আমরা দেওয়ার চেষ্টা করব, আগামী পর্বে।