বুস্টার ডোজে বাড়ে অ্যান্টিবডির স্থায়িত্ব

বুস্টার ডোজে বাড়ে অ্যান্টিবডির স্থায়িত্ব

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌
Posted on ১৪ এপ্রিল, ২০২৩

কোভিডের ত্রাস আবার হয়তো তেড়ে আসছে। তার মধ্যেই স্বস্তির কথা শোনাচ্ছে নতুন গবেষণা। ফাইজার বা মডার্নার মতো এম-আরএনএ বুস্টারের প্রয়োগে কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে আমাদের শরীরের অ্যান্টিবডির স্থায়িত্ব প্রভাবিত হয়। এই জাতের বুস্টার ডোজে সব মানুষের জন্যেই অ্যান্টিবডি দীর্ঘস্থায়ী হয়, এমনকি যারা সংক্রমণ থেকে সেরে উঠেছে তাদের ক্ষেত্রেও।
ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য বিভাগের বরিষ্ঠ গবেষক জেফ্রি উইলসন বলছেন, পরীক্ষার ফলাফল থেকে এটা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট যে ভ্যাকসিন-সৃষ্ট অ্যান্টিবডির মেয়াদ বেড়েছে বুস্টারের ব্যবহারে। উইলসন ও তাঁর দল ঐ বিশ্ববিদ্যালয়েরই ১১৭ জন কর্মীর শরীরে বুস্টার প্রয়োগের পর অ্যান্টিবডির মাত্রা পরিমাপ করেছিলেন। তারপর এক বছর আগে প্রথমবারের জন্য ভ্যাকসিন নেওয়া ২২৮ জন স্বেচ্ছাসেবকের সাথে তুলনা করে দেখা হয়। এক সপ্তাহ থেকে ৩১ দিন অবধি দুটো ক্ষেত্রেই অ্যান্টিবডির মাত্রা সমান ছিল কিন্তু বুস্টার ডোজের পর তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডি শরীরে অবস্থান করেছে বেশিদিনের জন্য।
অন্যতম মুখ্য গবেষক স্যামুয়েল এলসওয়ার্থ জানালেন, প্রথমে ভাবা হয়েছিল হয়তো বুস্টার ডোজের জন্যে অ্যান্টিবডির মাত্রা বেশি হবে। কিন্তু তা হয়নি। পরিবর্তে দেখা গেল, অ্যান্টিবডির স্থায়িত্ব বেড়েছে। অর্থাৎ কোভিডের বিরুদ্ধে রোগ-প্রতিরোধের ধারাবাহিকতা বুস্টার ডোজ দিলে বৃদ্ধি পাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 − fourteen =