বেড়াল-বিবাদের সমাধানে পরিবেশ আদালত !

বেড়াল-বিবাদের সমাধানে পরিবেশ আদালত !

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌।
Posted on ১৪ আগষ্ট, ২০২২

দক্ষিণ কলকাতার গড়চা লেনের একটি আবাসনে বেড়াল নিয়ে দু’পক্ষের এই বিবাদের কথা ইতিমধ্যেই রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, কলকাতা পুরসভা, গড়িয়াহাট থানা, লালবাজার, অ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার বোর্ড, রাজ্য ও জাতীয় মহিলা কমিশন-সহ বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছছে। সব জায়গা ঘুরে শেষ পর্যন্ত তা গিয়েছে জাতীয় পরিবেশ আদালতে। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখতে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, পুরসভা এবং গড়িয়াহাট থানার প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি কমিটি গড়েছে পরিবেশ আদালত। সংশ্লিষ্ট আবাসনের বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, এক বাসিন্দা মোহর চট্টোপাধ্যায় তাঁর ফ্ল্যাটে প্রায় ৮০টি বেড়াল পোষেন। সেই সঙ্গে রাস্তার আরও ৭০-৮০টি বেড়ালকে খাওয়ান। অভিযোগকারীদের আইনজীবী পৌষালি বন্দ্যোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, বেআইনি ভাবে বেড়াল পোষায় আবাসনের পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠেছে। বেড়ালের মল-মূত্র, তাদের খসে পড়া লোমের কারণে বায়ুদূষণ ও পরিবেশদূষণ হচ্ছে। এমনকী, আবাসনের খোলা জায়গায় বেড়ালের উপদ্রবে চলাফেরা করা মুশকিল হচ্ছে। একইসঙ্গে পশুজনিত রোগেরও আশঙ্কা থাকছে।
উল্টো দিকে, বেড়াল পোষার কারণে দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে আবাসিকদের একাংশ তাঁকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে হেনস্থা, এমনকি প্রাণে মারারও হুমকি দিচ্ছেন বলে গড়িয়াহাট থানায় ইতিমধ্যেই অভিযোগ করেছেন মোহর। তিনি জানাচ্ছেন, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা রাস্তার ৭০-৮০টি বেড়ালকে খাওয়ানোর অভিযোগ ভিত্তিহীন। কারণ, গোটা এলাকায় অত বেড়াল একসঙ্গে পাওয়া অসম্ভব। তা ছাড়া, পোষা বেড়ালদের ফ্ল্যাটের বাইরে বেরোনো আটকাতে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা-ব্যবস্থা রয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা, ফ্ল্যাট এবং রাস্তার বেড়ালদের প্রতিষেধক দেওয়া রয়েছে এবং তার প্রামাণ্য নথিও আছে। মোহর এ-ও জানাচ্ছেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়েও আছে, রাস্তার পশুপাখিদের খাওয়ানো নাগরিকদের অধিকার ও কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। তাঁর কথায়, “বেড়ালের কারণে কতটা বায়ুদূষণ বা পরিবেশদূষণ হয়, তা আমিও দেখতে চাই। আদালতের উপরে আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 + 12 =