বোতলের মধ্যে স্বতন্ত্র ইকোসিস্টেম

বোতলের মধ্যে স্বতন্ত্র ইকোসিস্টেম

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১৫ মে, ২০২২

বাড়ির ছাদ, বারান্দা, বা সামনের একটুকরো জমিতে বাগান করার শখ ত অনেকেরই। কিন্তু শুনেছেন কি বোতলের মধ্যে বাগান? এমনটাই করেছেন ডেভিড ল্যাটিমার। একটা ১০ গ্যালন সাইজের বোতলের মধ্যে গড়ে তুলেছেন আস্ত বাগান।
১৯৬০ সালে ল্যাটিমার ট্যারিয়াম পদ্ধতিতে বিশেষ বাগান গড়ার কাজ শুরু করেন। এই পদ্ধতিতে বোতলের মধ্যেই মাটি দিয়ে, সেখানে গাছের বীজ(গুল্ম জাতীয়) ছড়িয়ে প্রয়োজন মতো সার, জল সরবরাহ করা হয়। গাছের পরিচর্যা হয় ঐ বোতলের মধ্যেই। ১৯৬০ সালে ল্যাটিমার কমপোস্ট সার, অল্প জল, আর বীজ দিয়ে বোতলের মুখ আটকে দেন। কাচের বোতল বলে নিয়মিত আলো যেত বোতলের ভেতরের অংশেও।কিন্তু আর কোন বাইরের উপাদান প্রবেশ করতে পারতো না। গাছ বড় হওয়ার পর শেষবারের মতো বোতলের ছিপি খোলা হয় ১৯৭২ সালে। সামান্য জল দিয়ে সেবারও বোতলের মুখ আটকে দেন ল্যাটিমার।
এই অবস্থায় গাছটি মারা গেল না। পরিবর্তে অবাক করে দিয়ে গোটা বোতল জুড়ে বানিয়ে বিয়েছে একটি ইকোসিস্টেম। মাটির কমপোস্ট সারে থাকা ব্যাকটেরিয়া গাছের মরা পাতা থেকে পুষ্টি পায়। গাছ থেকে উৎপন্ন অক্সিজেন ব্যবহার করে তারা বেঁচে থাকে। আবার ব্যাকটেরিয়াদের শ্বসন থেকে উৎপন্ন কার্বন ডাই অক্সাইড ব্যবহার করে খাদ্য উৎপাদন করে গাছ। বাইরের পৃথিবীর মতো ভারসাম্য যুক্ত ইকোসিস্টেম গড়ে উঠছে ১০ গ্যালন বোতলে। আর একটা পৃথিবী যেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × 5 =