প্রাচীন শব্দতালিকা থেকে ভাষাবংশ চিহ্নিত করা যায়, সেকথা আগেই জানা ছিল, কিন্তু ভাষার ব্যাকরণ যে মানব বংশ-ইতিহাসকে চিহ্নিত করতে পারে একথা এতদিন জানা ছিল না।
অতিসম্প্রতি ‘জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞান’ বিভাগের নেতৃত্বে একটি আন্তর্জাতিক গবেষণা দল জিনতত্ত্ব, ভাষাবিজ্ঞান, সংগীততত্ত্বের মধ্যে তুলনামূলক চর্চা করে দেখেন যে এগুলির মধ্যে কোন বিষয়টি মানুষের বংশগত ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের পারস্পরিক সম্পর্ককে অধিকতর প্রতিফলিত করছে। গবেষণা দলটি উত্তরপূর্ব এশিয়াকে গবেষণার জন্যে কেন্দ্রীয় অঞ্চল হিসেবে বেছে নিয়েছিল; কারণ, উত্তরপূর্ব এশিয়া, ‘এশিয়া’ ও ‘দক্ষিণ আমেরিকার’ বংশ-ইতিহাসকে সংযুক্ত করে। জিনগতভাবে কাছাকাছি হলেও এই দুই মহাদেশের মধ্যে ভাষাগত ও সংস্কৃতিগত পার্থক্য বিস্তর। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, অন্যান্য সাংস্কৃতিক চিহ্নগুলির চেয়ে মানুষের বংশ-ইতিহাস বেশি প্রতিফলিত হয় ব্যাকরণের মাধ্যমেই। জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষক পিটার রাঞ্চার বলেন, গবেষণায় ব্যাকরণ এবং জিনতত্বের মধ্যে সুনির্দিষ্ট সম্পর্ক দেখা গেছে। অন্য এক গবেষক বাইকেল জানান, সাংস্কৃতিক এবং জিনগত বিবর্তনের জটিল তরঙ্গকে বোঝার জন্যে নিশ্চয়ই আরও বিস্তারিত গবেষণার প্রয়োজন।