ইউনিভার্সিটি অফ ওয়েস্ট অফ ইংল্যান্ডের একদল বিজ্ঞানীর গবেষণায় প্রকাশ্যে এল এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। নেতৃত্বে ছিলেন ব্রিটিশ গবেষক অ্যান্ড্রু অ্যাডামৎস্কি। সম্প্রতি রয়্যাল সোসাইটি অফ ওপেন সায়েন্স পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে সংশ্লিষ্ট গবেষণাপত্রটি। এবার তা ১০০ শতাংশ সঠিক বলেই অভিমত বিজ্ঞানীদের। কিন্তু প্রাণীদের মতো অঙ্গভঙ্গি করে ভাব প্রকাশ করার সুযোগ নেই উদ্ভিদের। তবে কীভাবে কথা বলে ছত্রাক?
শুরু থেকেই বলা যাক এই গবেষণার কথা। মূলত, ছত্রাক বা প্রচলিত মাশরুমের চারটি প্রজাতি নিয়েই শুরু হয়েছিল এই গবেষণা। প্রাণীদের মতো ছত্রাক সংবেদনশীল কিনা, তা পরীক্ষা করাই ছিল এই গবেষণার মূল উদ্দেশ্য। এই পরীক্ষার সময়ই গবেষকদের নজরে আসে, এক বিশেষ ধরনের ইলেকট্রিকাল ইমপালস তৈরি করে ছত্রাক। যা হুবহু মিলে যায় মানুষ বা অন্যান্য প্রাণীর নিউরোনের সংবেদনশীলতার সঙ্গে। মানুষ কথা বলার সময়, এই একই ধরনের ইমপালস প্রবাহিত হয় স্নায়ুকোষের মধ্যে দিয়ে। তবে মস্তিষ্কে এই তরঙ্গের প্রক্রিয়াকরণ হয়ে, তার বহিঃপ্রকাশ হয় কথার মাধ্যমে।
গবেষকদের অনুমান, খাদ্যদ্রব্যের খোঁজ থেকে শুরু করে শিকার ও শিকারির অস্তিত্ব, বিপর্যয়ের আশঙ্কা এমনকি নিজেদের বেদনার কথাও প্রকাশ করে ছত্রাক। তবে বলাই বাহুল্য, এখনও পর্যন্ত এই ভাষাকে ডিকোড করতে সক্ষম হননি বিজ্ঞানীরা।