ব্লাড স্টেম সেল গবেষণা বদলে দিতে পারে ভবিষ্যতের ওষুধ

ব্লাড স্টেম সেল গবেষণা বদলে দিতে পারে ভবিষ্যতের ওষুধ

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২

অস্ট্রেলিয়ার সিডনীতে অবস্থিত নিউ সাউথ ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়। এই প্রতিষ্ঠানের বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার আর চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা দুটো আলাদা গবেষণা চালিয়েছিলেন। ফলাফল হতে পারে যুগান্তকারী, হয়তো পাল্টে যাবে ওষুধপত্রের ধরণ।

স্টেম সেল কী জিনিস? ব্লাড স্টেম সেলই বা কীরকম? শরীরের মধ্যেকার একপ্রকার বীজ কোষ, যা থেকে বিভিন্ন কাজে নিযুক্ত অন্য কোষগুলোর জন্ম হয়, তাকেই বলে স্টেম সেল। রক্তের প্লাজমার মধ্যে থাকা বীজ কোষকে ব্লাড স্টেম সেল বলে ডাকা হয়। নানা জটিল রোগ একেবারে গোড়া থেকে সারাতে স্টেম সেল চিকিৎসা পদ্ধতির জুড়ি মেলা ভার।

নিউ সাউথ ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটো পৃথক দল গবেষণা চালিয়েছে গত কয়েক বছর ধরে। প্রকল্পের পোশাকি নাম – ইন্ডিউসড প্লুরিপোটেন্ট স্টেম সেলস। যদিও সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীরা ইঁদুর বা মানুষের ভ্রূণ নিয়ে গবেষণা না করে সরাসরি ব্যবহার করেছেন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির বীজকোষ। এই প্লুরিপোটেন্ট স্টেম সেল নিয়ে কৌতূহল আজকের নয়। ২০০৬ সাল থেকেই পরীক্ষানিরীক্ষা চলছিল। কিন্তু কৃত্রিম উপায়ে কোষ বিভাজনের উপায় কীভাবে পরীক্ষাগারে বের করা যায় তা নিয়ে চর্চা কম নয়।

নিউ সাউথ ওয়েলসের বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের গবেষণার মূল উদ্দেশ্যই ছিল কৃত্রিম ভ্রূণের হৃদপিণ্ড থেকে মানুষের দেহের বুনিয়াদি বীজকোষের গতিবিধি আবিষ্কার করা। গত জুলাই মাসে নেচার পত্রিকার সেল বায়োলজি বিভাগে একটা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে ইঁদুরের দেহের বীজকোষ থেকে কীভাবে ব্লাড স্টেম সেল তৈরি হয় সেটা দেখানো হয়েছিল।

দুটো পৃথক গবেষণাই বেশ জরুরি। বোঝা যাবে, ঠিক কীভাবে কখন কোথায় কোন কোষগুলো রক্তের বীজকোষ তৈরিতে সাহায্য করে। যদিও এটা একটা প্রাথমিক ধাপ, তবুও ভবিষ্যতের চিকিৎসা পদ্ধতি বা ওষুধপত্রের ব্যবহারে বিপ্লব আনতেই পারে এই দুটো গবেষণা।