ব্ল্যাকহোল প্রসারণের রহস্য

ব্ল্যাকহোল প্রসারণের রহস্য

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১০ নভেম্বর, ২০২১

ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বর, আর ছায়াপথের কেন্দ্রে রয়েছে সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোল- নক্ষত্র থেকে শুরু করে গ্রহ গ্রহানু নাগাল পেলেই গিলে নেয় এইসব ব্ল্যাকহোল। আলোও নাগপাশ এড়াতে পারেনা ব্ল্যাকহোলের। ব্ল্যাক হোলগুলির ধাক্কাধাক্কির ফলে তৈরি হওয়া তরঙ্গ পৃথিবীতে প্রথম ধরা পড়ে ২০১৫ সালে- আবিষ্কৃত হয় অভিকর্ষীয় তরঙ্গ। এরপর দেখা যায় প্রায় শতকোটি বছর আগে ধাক্কাধাক্কির ফলে মিলেমিশে যে ব্ল্যাক হোলগুলির জন্ম হয়েছে তারা কল্পনাতীত ভাবে দৈত্যাকার হয়ে উঠেছে। কিন্তু কীভাবে?
এই কীভাবের উত্তর মিলেছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা অ্যাস্ট্রোফিজিকাল জার্নাল লেটার্স এ প্রকাশিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়, শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়, অ্যান আর্বর-এর মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের যৌথ গবেষণায়। ব্রক্ষ্মাণ্ডের আকৃতি বেলুনের মতো প্রসারিত হচ্ছে, তারসাথেই বাড়ছে ব্ল্যাকহোলের আয়তন।
ব্ল্যাকহোলগুলির ভর এতটাই বেড়ে গিয়েছে যা কখনও হিসাবের মধ্যেই ধরেননি জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। অভিকর্ষজ তরঙ্গ আবিষ্কৃত হওয়ার আগে পর্যন্ত ধারনা ছিল ব্ল্যাকহোলের ভর সর্বোচ্চ সূর্যের ভরের ৪০ শতাংশের কাছাকাছি হতে পারে। কিন্তু অভিকর্ষজ তরঙ্গ হওয়ার পর জানা গেল, সূর্যের ৫০ থেকে ১০০ গুন বেশি ভরযুক্ত ব্ল্যাকহোল রয়েছে ব্রক্ষ্মাণ্ডে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানান আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতার নির্যাসেই ব্রক্ষ্মাণ্ডের প্রসারণের ইঙ্গিত ছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × five =