‘ভর’ বিষয়ে দুচার কথা

‘ভর’ বিষয়ে দুচার কথা

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ৮ অক্টোবর, ২০২১

এক কেজি সর্ষের তেল দাও তো- মুদি খানার দোকানে বলি আমরা। এই এক কেজি আসলে কী বলো তো? বস্তুর ভর। চলতি কথায় আমরা বলি ওজন। কিন্তু কিলোগ্রাম, গ্রাম এসব কোনো বস্তুর ভরেরই একক। যেমন ধরো, শ্যামের ওজন ৫৮ কেজি- বলি আমরা। ওটা আসলে শ্যামের শরীরে থাকা পদার্থের ভর। বস্তুর ভর থেকেই বোঝা যায় কতটা পদার্থ বস্তুর মধ্যে আছে। বস্তুর পদার্থের ভর এবং বাইরে থেকে প্রদত্ত বলের একটা সম্পর্ক আছে। পদার্থের ভর যদি বেশি হয় আর বাইরে থেকে প্রদত্ত বল যদি পরিমাণে কম হয়, তাহলে পদার্থকে টলানো যায় না। যেমন তুমি হাত দিয়ে হাতিকে ঠেলে সরাতে পারবে না। আবার হাতির বদলে বেড়াল হলে? কাজটা সোজা। কারণ বেড়ালের ভর তোমার হাতের ঠেলার নিরিখে, মানে বাইরে থেকে প্রদত্ত এই শক্তির পরিমাপের নিরিখে কম।
বস্তুর আয়তনের সাথে কিন্তু ভরের সব সময় যোগাযোগ থাকে না। ধরো জামা আয়তনে বড়। বই ছোটো। কিন্তু বই এর ভর জামার চেয়ে বেশি। ভরের আর একটি বৈশিষ্ট্য আছে। বস্তুর ভরের ওপরই নির্ভর করে ঐ বস্তুর মধ্যাকর্ষন। বেলুন কে ছাদ থেকে নিচে ছেড়ে দাও। নামবেও ধীরে ধীরে। কারণ ভর কম বলে মধ্যাকর্ষনও কম। আবার ক্রিকেট বল ছাদ থেকে ছাড়লে দ্রুত পড়তে থাকবে। ভর বেশি হওয়ার জন্যেই মধ্যাকর্ষন বেশি।
আমাদের পৃথিবীকে যে সূর্য নির্দিষ্ট কক্ষপথে ধরে রেখেছে, সেই কক্ষপথেই পৃথিবী পাক খাচ্ছে এর কারণও সূর্যের ভর পৃথিবীর চেয়ে অনেক বেশি। নইলে পৃথিবী সূর্যের দিকেই ছুটে যেত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × three =