ভাইরাস দিয়ে ভুরিভোজ সারে কে?

ভাইরাস দিয়ে ভুরিভোজ সারে কে?

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌
Posted on ১৬ এপ্রিল, ২০২৩

অ্যামেরিকার নেব্রাস্কা-লিঙ্কন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এমন এক খবর রাষ্ট্র করলেন যা পৃথিবীতে প্রথম। ভাইরাস দিয়ে খিদে মেটায় কে? প্রশ্নটা হাস্যকর হলেও উত্তরটা বাস্তব। স্বাদুজলে বাস করা এক প্রকারের প্ল্যাঙ্কটন।
এমনিতে ঘটনাচক্রে ভাইরাস গিলে ফেলার নমুনা আছে। সামুদ্রিক প্রোটিস্টরা বিশেষ ঋতুতে নিয়ম করে ভাইরাস ভক্ষন করে থাকে। কিন্তু প্রত্যহ ভাইরাস খাওয়া? ভাইরাস আর প্ল্যাঙ্কটনের মধ্যে খাদ্য-খাদকের সম্পর্ক তৈরি হওয়া? ভোক্তার দেহের বিকাশে বা খাদ্যগুণ জোগানে ভাইরাসের অবদান? এমনটা কেউই আগে শোনেনি।
এই আনোখা অণুজীবের ভালো নাম হ্যাল্টেরিয়া। চুলের মতো সিলিয়ার সাহায্যে জলের মধ্যে ভেসে বেড়ায়। তাদের খাদ্য হচ্ছে ক্লোরোভাইরাস। হ্যাল্টেরিয়ার বিকাশ, এমনকি তাদের বসতির বিকাশেও এই বড়ো আকারের ভাইরাসের হাত আছে।
নেব্রাস্কা-লিঙ্কন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস্তুতন্ত্রবিদ জন ডেলং বলছেন, যদি ভাইরাসের সংখ্যা সিলিয়েটের (হ্যাল্টেরিয়া) সংখ্যা আর জলের পরিমাণ মাপা যায় তাহলে বোঝা যাবে অল্প পরিসরের মধ্যে একটা খাদ্য-খাদক সম্পর্কে কতটা বেশি শক্তির আদানপ্রদান ঘটছে।
পিএনএএস পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণাপত্র।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty − 2 =