উত্তর মেরুর প্রান্তীয় অংশকে পৃথিবীর না শেষ অক্ষত বরফ-চাদর বা লাস্ট আইস’ বলা হয়। ‘শেষ বরফ’-য়েও এবার ভাঙন খুব স্পষ্ট। বরফের চাদরে ফাটল ধরেছে। দেখা যাচ্ছে তার নীচ দিয়ে বয়ে চলেছে জল। এই ধরনের ফাটলকে ‘পলিনিয়া’ বলে। ২০২০-র মে মাসে ‘লাস্ট আইস’ এলাকার অন্তর্ভুক্ত কানাডার এলসমেয়ার আইল্যান্ডে বরফের মাঝে পলিনিয়া চিহ্নিত হয়। দু’সপ্তাহ ধরে ও ভাবে বরফের মাঝে গর্ত হয়েছিল। বিজ্ঞানীদের অনুমান, উত্তর মেরুর জোরদার অ্যান্টিসাইক্লোনিক হাওয়ার জেরে পলিনিয়াটি তৈরি হয়েছিল। পরে সেটি বুজে গেলেও মেরুর ওই অংশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে রয়েছে, তা নিয়ে সন্দেহ নেই প্রকৃতি বিজ্ঞানীদের। অগস্ট মাসে এ বিষয়ে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে ‘জিয়োফিজ়িক্যাল রিসার্চ লেটারস’-এ। সেখানে বিশেষজ্ঞেরা লিখেছেন, ১৯৮৮ সালে থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত এমন বেশ কিছু পলিনিয়া তৈরির খবর তাঁদের কাছে রয়েছে। উপগ্রহচিত্রে ধরা পড়েছে সেই ছবি।
এই গবেষণার যুক্ত প্রধান বিজ্ঞানী কেন্ট মুর জানাচ্ছেন, ওই অংশে সমুদ্রের উপরে বরফের চাদর প্রায় ১৩ ফুট পুরু। অন্তত ৫ বছরের জমা বরফ। কিন্তু এই অংশও যে বিপন্ন হয়ে উঠছে, তা স্পষ্ট।