১১জন বিজ্ঞানীকে এ বছরের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অবদানের জন্য শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার দেওয়া হল। পুরস্কারটি দেওয়া হয় ৪৫ বছরের কম বয়সী বৈজ্ঞানিকদের। বিজ্ঞানীর অবদান দেখা হয় সাতটি বিষয়ে। বায়োলজি, রসায়ন, পরিবেশ বিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়ারিং, অঙ্ক, মেডিসিন এবং পদার্থবিদ্যা। এবছর, ভাটনগরে আধিপত্য বাঙালির! ১১ পুরষ্কৃত বিজ্ঞানীর মধ্যে চারজনই বাঙালি। এই চারজনের নাম কণিষ্ক বিশ্বাস, কনক সাহা, দেবদীপ মুখোপাধ্যায় এবং অনীশ ঘোষ। কণিষ্ক বিশ্বাস (ডান দিক থেকে দ্বিতীয়) পুরস্কৃত হয়েছেন কেমিক্যাল সায়েন্সে। ২০০৩-এ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেমিষ্ট্রি অনার্সে পাস করে চলে গিয়েছিলেন বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সে পিএইচডি করতে। পুরস্কৃত হয়েছেন খড়গপুর আইআইটি-র কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক দেবদীপ মুখোপাধ্যায় (একদম বাঁদিকে)। দেবদীপ মুখোপাধ্যায়ের কাজ ক্রিপ্টোগ্রাফি ও কম্পিউটার আর্কিটেকচার নিয়ে। আর গণিতে যে দু’জন এবার ভাটনগর পুরস্কার জিতে নিলেন তার মধ্যে একজন টাটা ইনস্টিটিউট অফ ফান্ডামেন্টাল রিসার্চের অনীশ ঘোষ (বাঁদিক থেকে দ্বিতীয়)। তাঁর গবেষণা মূলত আর্গোডিক এবং নম্বর থিয়োরি নিয়ে। আর পুরস্কৃত হয়েছেন কনক সাহা (একদম ডানদিকে)। কনক সাহা দিনহাটা স্কুলের ছাত্র ছিলেন। নাসার হাবল টেলিস্কোপ ব্রহ্মান্ডে আলোর দিশা দেখাতে পারেনি এখনও। বর্তমানে পুণের ইন্টার-ইউনিভারসিটি ফর অ্যাস্ট্রনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের অধ্যাপক কনক সাহার গবেষণা সেই কাজে সফল। কনক সাহা বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র।