ভারতীয় কাকের জ্বালায় কেনিয়ার পাখিরা অস্থির

ভারতীয় কাকের জ্বালায় কেনিয়ার পাখিরা অস্থির

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১৬ নভেম্বর, ২০২৪

আক্রমণাত্মক বা বহিরাগত প্রজাতির গাছ, মাছ, পশু যেকোনো দেশে প্রবেশ করে সেখানের স্থানীয় প্রজাতিদের বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। কেনিয়ার খামারের মালিক ড্যানসন সাফারি কেনিয়ার উপকূলে আক্রমণাত্মক ভারতীয় কাকের আক্রমণে শয়ে শয়ে মুরগি খুইয়ে হাঁস-মুরগি পালন ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। এটা মাত্র একটা উদাহরণ নয়। ভারতীয় কাকের আক্রমণে কেনিয়ার নিজস্ব পাখিরা নাকাল হচ্ছে। এই বহিরাগত আক্রমণাত্মক প্রজাতি মূলত ১৮৯১ সালে ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে পূর্ব আফ্রিকায় গিয়েছিল। গবেষকদের অনুমান বর্তমানে কেনিয়াতে কাকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় দশ লক্ষ হয়েছে। কনজারভেশন গ্রুপ এ রোচা কেনিয়ার গবেষণা বিজ্ঞানী, কিরাও লেনক্স বলেছেন কাকের কারণে কেনিয়ার স্থানীয় পাখির সংখ্যা নাটকীয়ভাবে হ্রাস পেয়েছে। কাকের জন্য ক্রমবর্ধমান হুমকির মোকাবিলায় কেনিয়ার কর্তৃপক্ষ এবং সংরক্ষণ গোষ্ঠীগুলো অন্যান্য পাখির ক্ষতি না করে কাক নির্মূল করতে স্টারলিসাইড নামক রাসায়নিক ব্যবহার করছেন।
কাক কেনিয়ার দেশীয় প্রজাতির পাখিদের আক্রমণ করছে। পাখির বাসা, ডিম, ছানা এবং এমনকি প্রাপ্তবয়স্ক পাখিদেরও কাক আক্রমণ করছে বলে লেনক্স জানিয়েছেন। কাকের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারলে, তারা বাস্তুতন্ত্রকে যেভাবে ব্যাহত করছে, তার ফলে দেশীয় প্রজাতির পতন ঘটছে। এ রোচা কেনিয়ার কাক কন্ট্রোল অফিসার এরিক কিনোটি বলেছেন, স্টারলিসাইড ব্যবহার শুরুর পরে উপকূলীয় শহর ওয়াটামুতে এক মাসে প্রায় ২০০টা কাককে মারা গেছে। কিনোটি বলেছেন যে বন্দর শহর মোম্বাসার সাথে নাইরোবি সংযোগকারী রাস্তার পাশেও কাকগুলি দেখা গেছে৷ তিনি ভয় পান যে কেনিয়ার রাজধানী শহর, বিশেষ করে নাইরোবি ন্যাশনাল পার্কে কাক প্রবেশ করে সেখানকার জীববৈচিত্র্য নষ্ট করে দিতে পারে। কেনিয়ার প্রশাসন একেবারেই চায় না কাক নাইরোবিতে প্রবেশ করুক। যদি তারা সেই বাস্তুতন্ত্রে একবার প্রবেশ করে, তবে অন্যান্য দেশীয় প্রজাতির পাখি সম্পূর্ণরূপে নির্মূল হয়ে যাবে।