বিশ্ব উষ্ণায়ন থেকে দ্রুত জলবায়ু পরিবর্তন। এর সঙ্গে মানুষের অবিরাম জঙ্গল কেটে ফেলা, প্রাণী হত্যা করা। সমস্ত দিক থেকে প্রকৃতির বিদ্রোহের মধ্যে বৃহস্পতিবার পরিবেশবিদদের কাছে স্বস্তির খবর দিল কেন্দ্রীয় সংস্থা ফরেস্ট সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার দ্বিবার্ষিক রিপোর্ট। তারা জানিয়েছে, গত দু’বছরে ভারতে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে বনভূমির পরিমাণ। পরিমাণটা কম নয়, গোটা দেশে ২২১৬ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে জন্মেছে নতুন গাছ। বনভূমির সবচেয়ে বেশি সম্প্রসারণ হয়েছে মধ্যপ্রদেশে। রিপোর্টটি জানিয়েছে, দেশে মোট বনভূমির পরিমাণ ৮০.৯ মিলিয়ন হেক্টর। যা সারা পৃথিবীর ২৪.৬২ শতাংশ। এর মধ্যে সবচেয়ে ওপরে থাকা মধ্যপ্রদেশের পর দ্বিতীয় স্থানে অন্ধ্রপ্রদেশ। যেখানে বনভূমি বেড়েছে ৬৪৭ কিলোমিটার। তারপর তেলঙ্গানা (৬৩২ বর্গ কিলোমিটার), ওড়িশা (৫৩৭ বর্গ কিলোমিটার), কর্ণাটক (১৫৫ বর্গ কিলোমিটার) এবং ঝাড়খণ্ড(১১০ বর্গ কিলোমিটার)।
তবে স্বস্তির পাশাপাশি আশঙ্কার কথাও শুনিয়েছে ফরেস্ট সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট। লেখা আছে উত্তর-পূর্ব ভারতে যেভাবে বনভূমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে তাতে জীববৈচিত্র্যের বাস্তুতন্ত্র ক্রমে ধ্বংস হয়ে যাবে। প্রাণী হারানো মানে প্রাণ হারানো আর তার প্রভাব পড়বে মানুষের দৈনন্দিন জীবনে। রিপোর্ট জানাচ্ছে, গত দু’বছরে উত্তর-পূর্ব ভারতে মোট ১০২০ বর্গ কিলোমিটার বনভূমি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে অরুণাচল প্রদেশে বনচ্ছেদন হয়েছে সর্বাধিক, ২৫৭ কিলোমিটার। হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত রাজ্যগুলিতেও বনভূমি কমে গিয়েছে উদ্বেগজনকভাবে। হিমালয় অঞ্চলের কোনও জেলাতেই গত দু’বছরে বনভূমি বাড়েনি।