ভারতে বায়ুর গুণমান, জীববৈচিত্র্য সংকটের মুখে

ভারতে বায়ুর গুণমান, জীববৈচিত্র্য সংকটের মুখে

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১৯ জুন, ২০২৪

৫ই জুন ২০২৪-এ প্রকাশিত এনভায়রনমেন্টাল পারফরম্যান্স ইনডেক্স (ইপিআই) অনুযায়ী ভারত, গ্রিনহাউস গ্যাসের তৃতীয় বৃহত্তম নির্গমনকারী। আমাদের দেশ বায়ুর গুণমান, অনুমানিত নির্গমন এবং জীববৈচিত্র্যের দিক দিয়ে সর্বনিম্ন র‌্যাঙ্কযুক্ত দেশের মধ্যে স্থান পেয়েছে। সামগ্রিক সূচকে, ১৮০টা দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ১৭৬তম। ভারতের পরে রয়েছে, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম, লাওস এবং মায়ানমার। একমাত্র জলবায়ু পরিবর্তনে ভারত ওপরের দিকে স্থান পেয়েছে। আগের ইপিআই-তে ভারত একেবারে নীচে স্থান পেয়েছিল। ইপিআই -তে ৫৮টা সূচক আছে, যার মধ্যে জল ও বায়ুর গুণমান, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, নির্গমনের হার ও কতটা নির্গমন হতে পারে তাকে তিনটে প্রধান শ্রেণিতে বিভক্ত করা হয়েছে – ইকোসিস্টেমের প্রাণশক্তি, পরিবেশগত স্বাস্থ্য, এবং জলবায়ু পরিবর্তন। এই সূচকগুলো জাতীয় স্কেলে পরিমাপ প্রদান করে যে দেশগুলো পরিবেশগত নীতি লক্ষ্য কতটা ওর্জন করতে পেরেছে। এবছরে নতুন এক সূচক জীববৈচিত্র্য ও বাসস্থান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই সূচকে দেখা গেছে চাষ ও বাড়ির জন্য জমি অধিগ্রহণে নানা সংরক্ষিত এলাকার পরিসর ছোটো হয়ে যাচ্ছে।
বায়ুর গুণমানের দিক দিয়ে ভারত ১৭৭তম স্থানে রয়েছে, এর পরে আছে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও নেপাল। আমাদের দেশের শক্তি ব্যবহার মুখ্যত কয়লার ওপর নির্ভরশীল, আর এটাই নানা সূচকের খারাপ মানের জন্য দায়ী। কয়লা ব্যবহারের ফলে শুধুমাত্র গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হয়না, মারাত্মক বায়ু দূষণ হয়। আমাদের দেশ জলবায়ু পরিবর্তন বিভাগে ভাল পারফরম্যান্স করে ১৩৩ তম স্থানে রয়েছে। এর কারণ নবায়নযোগ্য শক্তিতে আমাদের দেশের উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ। আমাদের দেশের লক্ষ্য হল ২০৭০ সালের মধ্যে নেট-শূন্য নির্গমন অর্জন করা। তবে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে এই লক্ষ্য পূরণের জন্য ভারতের অতিরিক্ত ১৬০ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হবে। কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বন এবং কৃষি ক্ষেত্রে ভারত তুলনামূলকভাবে ভালো পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। মোটামুটিভাবে দেখলে বায়ুর গুণমান, নির্গমন এবং জীববৈচিত্র্যের ক্ষেত্রে খারাপ স্কোর ভারতের সামগ্রিক র‌্যাঙ্কিং উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দিয়েছে। এই রিপোর্ট এনভায়রনমেন্টাল পারফরমেন্স ইন্ডেক্স,২০২৪-এ প্রকাশিত হয়েছে।

 

ছবি ঋণ – টাইমস অফ ইন্ডিয়া