ভুল তথ্যের জালে বন্দী মাকড়সাও!

ভুল তথ্যের জালে বন্দী মাকড়সাও!

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২২

সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে ভুল তথ্য ছড়ায় দ্রুত। ভুয়ো তথ্যের ফাঁদে পড়ে সংবাদমাধ্যম নিজেও। অনলাইন খবরের ক্ষেত্রে ভুল তথ্যের রমরমা খানিকটা বেশিই চোখে পড়ে। শুধু কি সেটাই? অসাধু উদ্দেশ্য নিয়ে ভুলভাল তথ্য ইন্টারনেটে ছড়িয়েও দেয় কিছু লোক। তথ্যসংকট থেকে নিস্তার মাকড়সাও পায়নি। জাল বুনে পোকামাকড়কে ফাঁদে ফেলে তারাই।

নতুন এক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, মাকড়সা নিয়ে যত খরব সারা দুনিয়া জুড়ে অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছে, তার অধিকাংশই ভুলে ভরা। অনেক ক্ষেত্রেই মাকড়সাকে মারাত্মক ক্ষতিকর হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে। আসলে মাকড়সা মোটেই ততটা ভয়ঙ্কর নয়।
কানাডার ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ক্যাথেরিন স্কটের তত্ত্বাবধানে হয়েছে এক নতুন গবেষণা। স্কট ও ওনার সহকর্মীদের এই গবেষণাপত্র ২২শে আগস্ট প্রকাশিত হয়েছে কারেন্ট বায়োলজি পত্রিকায়। স্কট বলেছেন, মাকড়সা নিয়ে বেশির ভাগ খবরই ভয় দেখানোর জন্য। যদিও মাকড়সা কামড়ায় না বললেই চলে।
ঐ গবেষণার প্রয়োজনে প্রায় পাঁচ হাজার অনলাইন রিপোর্ট খতিয়ে দেখেছেন বিজ্ঞানীরা। ৮১টা দেশের বিভিন্ন সংবাদ সংস্থার নমুনা নিয়েছিলেন তাঁরা। ২০১০ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত মানুষ আর মাকড়সা নিয়ে যে সব প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে সেসব সরেজমিনে তদন্ত করে গবেষকরা দেখেছেন, মাকড়সা সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ৪৩ শতাংশই বাড়িয়ে বলা বা পুরোপুরি মিথ্যে। এমনকি খুনি, দুর্বিষহ, দুঃস্বপ্ন ইত্যাদি শব্দে মাকড়সাকে বর্ণনা করা হয়েছে। গবেষকরা আরও বলেছেন, স্থানীয় খবরের তুলনায় থেকে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সংবাদপত্রে মাকড়সা নিয়ে পরিবেশিত তথ্যে গলদ বেশি থাকে। অনেক জায়গায় বিশেষজ্ঞদের মতামতের ধার ধারা হয় না।
প্রফেসর স্কট জানিয়েছেন, গোটা পৃথিবীতে প্রায় ৫০ হাজার বিভিন্ন প্রজাতির মাকড়সা রয়েছে। কয়েকটা মাত্র প্রজাতি বিষাক্ত। তিনি আরও বলেন, মাকড়সা কামড়ায়, এটা একেবারেই মিথ্যে। ব্রাউন রিক্লুস আর ব্ল্যাক উইডো ছাড়া অন্য মাকড়সার কামড়ানোর ঘটনা খুবই কম। ওনার দাবি, মাকড়সা নিয়ে যত ভয় রিপোর্টে দেখানো হয়েছ, ততটা ভয়ঙ্কর নয় তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eight − five =