শুধু তো ভ্যাকসিনের কথা ভাবলেই চলবে না, ভাবতে হবে ভ্যাকসিন রাখার কাঁচের শিশির কথা। বোরো সিলিকেট কাঁচের শিশি তৈরির বরাত কয়েক্ গুন বাড়াতে হবে। বোরন সংমিশ্রিত কাঁচ শিশিকে তাপমাত্রার সঙ্গে সুরক্ষা দেয় এবং ভ্যাকসিনের ভিতর রাসায়নিকের সঙ্গে বিক্রিয়াটি বাধা দেয়। এই কাজটি পৃথিবীব্যাপী চার স্থানে হয়। জার্মানিতে দুটি। আর ভারত ও ব্রাজিলে। এমনিতে সারাবিশ্বে প্রায় ৩০০ কোটি মেডিক্যাল বোরো সিলিকেট ভায়াল তৈরি হয়। এখন কত বৃদ্ধি করতে হবে সেটার অঙ্কটিও সুচারু ভাবে মেলাতে হবে।
সিরিঞ্জও প্রয়োজন। ভারত বর্ষে সর্বাধিক সিরিঞ্জ প্রস্তুত কারক ফরিদাবাদ অঞ্চলের হিন্দুস্থান সিরিঞ্জ। তারা এই সময়ে তাদের উৎপাদন ৭০ কোটি থেকে ১০০ কোটিতে নিয়ে যাবার লড়াই চালাচ্ছে। পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় সিরিঞ্জ প্রস্তুত কারক সংস্থার নাম বেকটন ডিকিনসন। তারা ১৮৯৭ সালে প্রথম সিরিঞ্জ বিক্রি শুরু করে আজ বিশ্ব সিরিঞ্জ উৎপাদক এক নম্বর কোম্পানি।
হু এর নিয়মাবলীতে প্রতি ১০০০ জন প্রতি ১ জন ডাক্তার ও ৪৮৩ জন পিছু একজন নার্স প্রয়োজন। ভারতবর্ষে প্রতি ১০০০০ জনে একজন চিকিৎসক। হিসেবে দেখা যাচ্ছে, ৬ লক্ষ চিকিৎসক আর ২০ লক্ষ নার্সের প্রয়োজন। চিকিৎসা পরিকাঠামো ভ্যাকসিনের অপরিহার্য অঙ্গ। ভ্যাকসিন দেবার কুশলী লোকের অভাব দেশ জুড়ে। কোভিড বিশ্ব জুড়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দুর্ভিক্ষের ছবিটি মেলে ধরেছে। জার্মানি ও চীন এগিয়ে থাকলেও কারোর প্রয়োজনীয় সংখ্যা নেই। এই পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিন এলেও কিভাবে তা প্রয়োগ হবে বা কতটা কার্যকরী হবে তা নিয়ে নানা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।