মঙ্গলের গেল ক্রেটারে প্রাচীন জলের নিশান

মঙ্গলের গেল ক্রেটারে প্রাচীন জলের নিশান

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১ মে, ২০২৩

সৌজন্যে কিউরিওসিটি রোভার। সাথে ছিল নাসার ডায়নামিক অ্যালবেডো অফ নিউট্রনস বা সংক্ষেপে ড্যাণ নামের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন স্পেক্ট্রোমিটার। দুই যন্ত্রের যুগলবন্দীতে মঙ্গলের বহুচর্চিত গেল ক্রেটার নামক অববাহিকায় ফাটলের মধ্যে প্রাচীনকালের জলের হদিশ পেলেন নাসার বিজ্ঞানীরা।
মঙ্গলের উপরিতলে এখন শুকনো অবস্থা, বিকিরণের প্রভাবে তা ফুটিফাটা বললেও কম বলা হয়। কিন্তু সুদূর অতীতে ঐ মাটির নীচেই বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে যে জলের বিপুল ভাণ্ডার ছিল তা এই নতুন অনুসন্ধান থেকে দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।
২০১২ সালে মূলত এই গেল ক্রেটার নামের উপত্যকার সরেজমিনে তদন্ত করতেই কিউরিওসিটি রোভার মঙ্গলে পাঠিয়েছিল নাসা। এটা আগে ছিল একটা ব্যাপ্ত নদী অববাহিকা। এখন সেখানে স্তরে স্তরে পাহাড়ি পাথুরে জমি। সেখানেই বড়ো বড়ো ফাটলের লম্বা লম্বা রেখা আগেই আবিষ্কার করেছে কিউরিওসিটি। সেগুলো জুড়ে জুড়ে প্রায় একটা জালের মতো ব্যবস্থা। এই ফাটলগুলোর চারপাশে এদিক ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে কিছু হালকা রঙের পাথরের স্তর খুঁজে পেলেন গবেষকরা। সেগুলো বিশ্লেষণ করেই তাঁরা বলছেন, এককালে এই অঞ্চলে জলের উপস্থিতি ছিল ব্যাপক পরিমাণে। হয়তো প্রাণের উপযুক্ত পরিবেশও সেই সময় থেকে থাকবে বা।
‘জিওফিজিক্যাল রিসার্চসঃ প্ল্যানেটস’ নামক পত্রিকায় বেরিয়েছে এই গবেষণাপত্র। নাসার বিজ্ঞানীদের সাথে মূল গবেষক হিসেবে ছিলেন অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির পোস্ট-ডক্টরাল সদস্য ট্রাভিস গ্যাব্রিয়েল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × 1 =