লালচে গ্রহ মঙ্গল শুরু থেকেই অবক্ষয়ের পথে গিয়েছিল, জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। এর কারণ শুধু মঙ্গলের আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের ঘনঘটা নয়, তার ক্ষুদ্রাকৃতিও অন্যতম এক কারণ বলে জানিয়েছেন গবেষণারত বিজ্ঞানীরা। ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের করা একটি সাম্প্রতিক গবেষণা জানিয়েছে, মঙ্গলের আকার যদি খুব ছোট না হত তাহলে কিন্তু মঙ্গলও পৃথিবীর মত একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রহ হতে পারত! কারণ সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে মঙ্গলে ছিল পৃথিবীর মত একাধিক বিশাল বিশাল হ্রদ। নাসার পারসেভারেন্স আর কিউরিওসিটি উপগ্রহ মঙ্গলপৃষ্ঠে এরই খোঁজেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। রোভারের পাঠানো ছবিতে ইতিমধ্যে দেখা গিয়েছে, মঙ্গলে নদী উপত্যকা আর জলের উৎস ছিল। এমনকী, বন্যা হওয়ার চিহ্নও দেখা গিয়েছে রোভারের ছবিতে। ন্যাশনাল একাডেমি অফ সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণাপত্র নিশ্চিতভাবে জানিয়েছে যে, আকারে ছোট হওয়ার জন্যই মঙ্গল তার কোনও জলাধার ধরে রাখতে পারেনি। প্ল্যানেটরি সায়েন্স নিয়ে গবেষণা করা অধ্যাপক কুন ওয়াং-এর বক্তব্য, “মঙ্গলের ভাগ্য তার জন্মলগ্ন থেকেই নির্ধারিত ছিল। জল ধরে রাখার জন্য গ্রহে উঁচু পাহাড়েরও থাকার প্রয়োজন হয়। দরকার হয় শক্তিশালী প্লেট টেকটনিকের। তার জন্য আকারে আরও বড় হওয়ার প্রয়োজন হয় গ্রহের। কিন্তু মঙ্গলের আকার এত ছোট যে সমস্ত কিছু থাকার জন্য যে ভরের প্রয়োজন হয় তা মঙ্গলের ছিল না। তাই কালের নিয়মে সব জল শুকিয়ে গিয়েছে!”
চিত্র ঋণ – নাসা