মঙ্গলের একটি আগ্নেয়গিরির মুখ থেকে প্রথম পাথরটি সংগ্রহ করা হয়েছিল। ৮ সেপ্টেম্বর নাসার পারসেভারেন্স রোভার সংগ্রহ করল দ্বিতীয় পাথর। প্রথম পাথরের নাম দেওয়া হয়েছিল মন্টডিনায়ার। দ্বিতীয় পাথরটির নাম দেওয়া হল মন্টাগন্যাক। বিজ্ঞানীরা ইতিমধ্যে পাথর নিয়ে গবেষণায় বসে গিয়েছেন। এই অভিযানের প্রোজেক্ট সায়েন্টিস্ট, কেন ফার্লে বলেও দিয়েছেন, “প্রথম স্যাম্পলটি বিশ্লেষণ করে এখনও পর্যন্ত মনে হচ্ছে মঙ্গলের পরিবেশ বাসযোগ্য হতে পারে। কারণ ওই গ্রহে একসময় ভালরকম জলের অস্তিত্ব ছিল।” বিজ্ঞানীরা পাথর দু’টির চরিত্র দেখে জানিয়েছেন, দু’টি পাথরই মঙ্গলের জিজেরো আগ্নেয়গিরি থেকে বেরিয়ে আসা লাভার প্রোডাক্ট। কিন্তু একইসঙ্গে বিজ্ঞানীরা খুঁজে চলেছেন, কোথায় অদৃশ্য হয়ে গেল জিজেরো আগ্নেয়গিরি? কীভাবে অদৃশ্য হয়ে গেল জিজেরো লেক? প্রাচীনকালের সেই সময়ের হদিশ পাওয়াই এখন নাসার বিজ্ঞানীদের প্রধান কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জল যে মঙ্গলে ছিল তার সম্পর্কে কীভাবে নিশ্চিত হলেন বিজ্ঞানীরা? এর কারণ পাথর থেকে নুনের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে! বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এ-ও হতে পারে, জিজেরো নামের কোনও আগ্নেয়গিরি ওখানে ছিলই না। একটা বিশাল গর্ত ছিল যেখান থেকে পাথর দু’টি পাওয়া গিয়েছে। পাথর দু’টি বিশ্লেষণ করার পর বিজ্ঞানীদের মনে হচ্ছে ওই বিশাল গর্তটি নিষ্ক্রিয় হয়েছিল জলের তোড়ে। তবে এখনও নিশ্চিত হতে পারেননি তারা। আরও পাথর সংগ্রহ করা হবে। আপাতত বিজ্ঞানীরা দু’টি পাথর বিশ্লেষণ করে মঙ্গলের প্রাচীনকালের ইতিহাস খুঁজতে ব্যস্ত।