মন ভাসালে কর্মক্ষমতা বাড়ে

মন ভাসালে কর্মক্ষমতা বাড়ে

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১৪ এপ্রিল, ২০২৫

মন স্বভাবত চঞ্চল। তাই বলে কাজের সময় তো মনকে যেখানে সেখানে ঘুরতে দেওয়া চলে না। যখন কাউকে মনোযোগ দিয়ে কাজ করতে এবং সক্রিয় চিন্তা করতে হয়, তখন যদি মনকে স্থির না রাখা যায়, তবে শেখা এবং কর্মক্ষমতা লোপ পেতে পারে। তবে সম্প্রতি দেখা গেছে, যেসব কাজে কম মনোযোগ প্রয়োজন, সেক্ষেত্রে কেউ মনকে ভাসিয়ে দিলে, তার মস্তিষ্কের কার্যকলাপ ‘ঘুমের’ মতো হয়। এর সাথে উন্নত কর্মক্ষমতার সম্পর্ক রয়েছে। ‘নিউরো সাই’-তে প্রকাশিত একটি গবেষণায়, পিটার সিমোর এবং সহযোগীরা দেখিয়েছেন, কীভাবে মনের ঘূর্ণন, কম মনোযোগের কাজের সময় ‘শেখার’ উপর প্রভাব ফেলে। প্রায় ৪০ জন অংশগ্রহণকারী এই গবেষণায় অংশ নেন। তাদের একটি সহজ শেখার কাজ দেওয়া হয়, যা সম্পূর্ণ সচেতন না হয়েও, অংশগ্রহণকারীদের কাজের পদ্ধতি এবং সম্ভাবনা বুঝতে সাহায্য করে। কাজের সময় তাদের মস্তিষ্কের কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করা হয়। কাজটি ইচ্ছাকৃতভাবে সহজভাবে তৈরি করা হয়েছিল, যা শেখার জন্য কোন সচেতন প্রচেষ্টা প্রয়োজন ছিল না। কাজ করার সময় মন ঘুরিয়ে দেওয়া তাদের কর্মক্ষমতা খারাপ করেনি বরং কিছু ক্ষেত্রে শেখার উন্নতিও করেছে। তবে স্বতঃস্ফূর্ত মনের ঘূর্ণন, শেখার জন্য বেশি সহায়ক ছিল। মন হালকা রেখে, কাজের শেখার উন্নতির সময়, কর্টেক্সে এক ধরনের দোলা দেওয়া স্নায়বিক কার্যকলাপ ঘটে। এটিই ঘুমের সময় বা ঘুমের মতো অবস্থায় ঘটা মস্তিষ্কের কার্যকলাপের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। তাই, স্বতঃস্ফূর্ত মনের ঘূর্ণনের সাথে যুক্ত ঘুমের মতো স্নায়বিক কার্যকলাপ সেই কাজগুলির শিক্ষণ পদ্ধতিকে উৎসাহিত করে যা অল্প মনোযোগেও সুন্দরভাবে হয়ে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × 3 =