মরুভূমি হয়ে গেল চিলির বৃহত্তম জলাধার!

মরুভূমি হয়ে গেল চিলির বৃহত্তম জলাধার!

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১৮ জুন, ২০২২

মাত্র তেরো বছরেই শুকিয়ে গেল চিলির পেনুয়েলাস জলাশয়। আন্তর্জাতিক মাপের সুইমিং পুলের মাপে প্রায় ৩৮ হাজার সুইমিং পুলের সমান আয়তনের পেনুয়েলাস! বছর কুড়ি আগেও ছিল চিলির ভালপরাইসো শহরের প্রধান জলাধার। এখন সেটি মরুভূমিতে রূপান্তরিত! খটখটে শুকনো হয়ে গিয়েছে। এখানে ওখানে পড়ে থাকা মাছের কঙ্কাল বহন করছে মৃত্যুর অশনিসংকেত। ১৩ বছরের ঐতিহাসিক খরা আমূল বদলে দিয়েছে অঞ্চলের জলবায়ু ও বাস্তুতন্ত্র। প্রচন্ড গরমে শুকিয়ে যাচ্ছে, জলাধার। যার প্রভাব পড়েছে তামা এবং লিথিয়াম উৎপাদনে। তালা পড়েছে শিল্পে। এমনকি চিলির রাজধানী সান্তিয়াগো থেকে জল রেশন করার ঐতিহাসিক নির্দেশিকা জারি হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই ধুঁকছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যেমন পেনুয়েলাসের জলে মাছ ধরে জীবিকানির্বাহ করা আমান্দা ক্যারাসকো। ঈশ্বরের কাছে প্রতিদিন প্রার্থনা করে চলেছেন, ‘ম্যাঘ-পানি’।
বিশেষজ্ঞরাও চিন্তিত। বিশ্ব উষ্ণায়নের ফল হিসাবে এই ভয়াবহ ঘটনাকে চিহ্নিত করেছেন অনেকেই। তাঁরা বলছেন, বৃষ্টিবাহী ঝড় ক্রমশ মুখ ফিরিয়েছে চিলির উপকূল থেকে। ফলে তাপমাত্রা অস্বাভাবিক বেড়েছে। এতটাই বেড়ে গিয়েছে, যে চিলির আন্দিজ পর্বতমালার বরফ গলে রাতারাতি বদলে যাচ্ছে বাষ্পে। চিলি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের মতে, আগামী ৩০ বছরের মধ্যে আরও কমে আসবে জল। প্রায় ৩০% শতাংশ জলাধার শুকিয়ে যাবে প্রকৃতির অভিশাপে। এই ঘোষণায় আঞ্চলিক কৃষকদের মাথায় হাত। যেমন পশুপালক সেগুনদো আবালে, দুষছেন ভাগ্যকে। জল না পেয়ে তাঁর পালিত পশুগুলিরও হাড়-জিরজিরে অবস্থা। এমনভাবে চললে, আর জীবনধারণের রসদটুকুও থাকবে না।