মহাকাশচারীদের ঝুঁকি

মহাকাশচারীদের ঝুঁকি

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌
Posted on ১০ জুন, ২০২৩

মহাকাশে ভেসে বেড়ানোর স্বপ্ন অনেকেই দেখেছেন। বর্তমানে বেসরকারি উদ্যোগেও এই স্বপ্ন সফল হতে পারে। তবে গ্যাঁটের কড়ি খরচ হবে অনেকটাই। কিন্তু প্রশিক্ষিত মহাকাশচারীদের কাছে বিষয়টা শ্রেফ একবার কৌতূহল মেটানোর নয়। টানা এক বছর বা কয়েক মাস ধরে গবেষণার তথ্য সংগ্রহের জন্য তাঁদের কাটাতে হয় স্পেস স্টেশনে। সায়েন্টিফিক রিপোর্টস পত্রিকায় প্রকাশিত গবেষণা বলছে, বেশিদিন মহাকাশে কাটালে ক্ষতি হয়ে যেতে পারে মস্তিষ্কে।
৩০জন মহাকাশচারীর মগজের স্ক্যান করে দেখেছেন গবেষকরা। তার ভিত্তিতেই ঐ পত্রিকায় এক প্রতিবেদন প্রকাশ করলেন তাঁরা। সাধারণত সমস্যা হয় শরীরের তরল উপাদান নিয়ে। মহাকর্ষ বল শূন্য হওয়ার কারণে শরীরের মধ্যেকার তরল শরীরেরই বিভিন্ন স্থানে জমা হতে থাকে। এটা মস্তিষ্কেও ঘটে। ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক র‍্যাচেল সিডলার বলছেন, পৃথিবীতে ফিরে আসার সাথে সাথেই কিন্তু এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতি বদলে যায় না। বরং স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে বেশ কিছুদিন সময় লাগে।
অস্ট্রেলিয়ার স্পেস হেলথ গবেষক ডঃ ভিয়েনা ট্র্যান বলছেন, শরীরের তরলের ভাণ্ডার উপরদিকে উঠতে থাকে। একে সেফ্যালিক শিফট বলে। মাথা, গলা আর বুকে জমা হয় গোটা শরীরের তরল। ফলে গোটা শরীরেই তার সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়ে। চোখের মণিতে খারাপ প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ে। অপটিক স্নায়ুর গঠন আর চরিত্র পাল্টে যায়।