মহাকাশের শব্দ‌ শোনালো নাসা

মহাকাশের শব্দ‌ শোনালো নাসা

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ২৭ আগষ্ট, ২০২২

২০০৩ সাল থেকে, পার্সিয়াস গ্যালাক্সি ক্লাস্টারের কেন্দ্রে অবস্থিত ব্ল্যাক হোলটির শব্দ নাসার গবেষণার বিষয়। এর কারণ হল জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন যে, ব্ল্যাক হোল দ্বারা প্রেরিত চাপের ফলে গ্যালাক্তি ক্লাস্টারের উত্তপ্ত গ্যাসে তরঙ্গের সৃষ্টি হয়। সেই তরঙ্গকে একটি শব্দের নোটে অনুবাদ করা যেতে পারে। আচ্ছা বলুন তো, মহাকাশে কি শব্দের অস্তিত্ব আছে? অনেকেই এর উত্তরে না বলবেন। আসলে তার পেছনে তাঁদের যুক্তি হল, মহাকাশ তো মহাশূন্য। তার বেশিরভাগ স্থানই শূন্য। সেখান দিয়ে শব্দ তরঙ্গ যাবে কী করে? আর সেটা না হলে শব্দের অস্তিত্বই বা থাকবে কীভাবে? কিন্তু জেনে রাখা ভাল, মহাকাশে যে শব্দের অস্তিত্ব নেই, সেটা একটা ভ্রান্ত ধারণা। সেই ভুল ধারণা ভাঙিয়েই টুইট করল নাসা।

মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জানিয়েছে, পার্সিয়াস গ্যালাক্সি ক্লাস্টারে এত বেশি গ্যাস রয়েছে যে, সেখান থেকে আমরা প্রকৃত শব্দের হদিশ পেয়েছি। সেই শব্দ আরও অ্যামপ্লিফাই করা হয়েছে। তার সঙ্গে আরও একটি মহাজাগতিক শব্দ, ব্ল্যাক হোলের শব্দ যুক্ত।
কোনও গ্যালাক্সি ক্লাস্টারে প্রচুর পরিমাণে গ্যাস থাকে। সেটি এর মধ্যে থাকা শত শত বা এমনকি হাজার হাজার ছায়াপথকে আবৃত করে। এটি শব্দ তরঙ্গের চলনের একটি মাধ্যম প্রদান করে। ২০০৩ সাল থেকে, পার্সিয়াস গ্যালাক্সি ক্লাস্টারের কেন্দ্রে অবস্থিত ব্ল্যাক হোলটির শব্দ নাসার গবেষণার বিষয়। এর কারণ হল জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন যে, ব্ল্যাক হোল দ্বারা প্রেরিত চাপের ফলে গ্যালাক্তি ক্লাস্টারের উত্তপ্ত গ্যাসে তরঙ্গের সৃষ্টি হয়। সেই তরঙ্গকে একটি শব্দের নোটে অনুবাদ করা যেতে পারে। যদিও সেটি মানুষ কানে শুনতে পারে না। সেই শব্দই বিশেষ উপায়ে শ্রুতিযোগ্য করে তোলেন বিজ্ঞানীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen − 2 =