মহাকাশে সুপারনোভা বিস্ফোরণ চাক্ষুষ করা গেল

আবার এক মহাজাগতিক বিস্ময়ের সাক্ষী থাকল পৃথিবী। লক্ষ কোটি যোজন দূরের এক সুপারনোভা দেখতে পেলেন বিশ্ববাসী, সৌজন্যে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।
সুপারনোভার চালচলন বইয়ের পাতায় অনেকেই পড়েছেন। এবার বাস্তবেই এক সুপারনোভা দেখার সুযোগ পেল পৃথিবী। সুপারনোভা হল এক নক্ষত্রের বিস্ফোরণে ধ্বংস হওয়ার ঘটনা। সে বিশাল বিস্ফোরণ মানুষের কল্পনার অতীত।
একটা নক্ষত্র, যার সহজ উদাহরণ সূর্য, তার নির্দিষ্ট অভিকর্ষ থাকে। যা তার যাবতীয় শক্তিকে কেন্দ্রীভূত করে একটা বিশেষ বলের (ফোর্স) আকার দেয়। এই অভিকর্ষ বল না থাকলে কোনও নক্ষত্র জমাট বাঁধত না। তার পারমাণবিক শক্তি ছড়িয়ে পড়ত।
নক্ষত্রের এই পারমাণবিক জ্বালানিরও কিন্তু শেষ আছে। কোটি কোটি বছর ধরে তা জ্বলার পর ক্রমশ নিভে আসে। তারপর এক সময় নিভে যায়। আর নিভে যাওয়ার সময় নক্ষত্রের নিউক্লিয়াসে একটা প্রকাণ্ড বিস্ফোরণ সংঘটিত হয়।
এতে ওই নক্ষত্র সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়। এই সময়কেই বলা হয় সুপারনোভা। নক্ষত্রের সুপারনোভার পর আর তার কোনও অস্তিত্ব থাকে না। তবে তা মহাবিশ্বে একটা কৃষ্ণগহ্বর বা ব্ল্যাকহোলের জন্ম দেয়। এমনই এক সুপারনোভা দেখল গোটা পৃথিবী। চন্দ্র এক্সরে অবজারভেটরি টেলিস্কোপের তোলা ধ্বংসের সেই ছবি নাসা প্রকাশ করেছে তাদের ওয়েবসাইটে।
৯ হাজার আলোকবর্ষ দূরে ঘটা এই সুপারনোভা বিস্ফোরণে কীভাবে যে অতি বিশাল ছিন্নভিন্ন কণা চারিদিকে ছড়িয়ে দেয় তা ধরা পড়েছে টেলিস্কোপে। যা বিজ্ঞানীদের যেমন উপকারে লাগবে গবেষণার কাজে, তেমনই সাধারণ মানুষকে এই বিরলতম ছবি স্তম্ভিত করে দিয়েছে। মহাকাশের এই বিস্ময়কর রূপে মুগ্ধ হয়ে গেছেন অনেকে।