মহাকাশ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ‘আদর্শ’ ভারত!

মহাকাশ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ‘আদর্শ’ ভারত!

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ৩ অক্টোবর, ২০২১

পৃথিবীর জ্যোর্তিবিজ্ঞানীদের কাছে মহাকাশ নিয়ে গবেষণার আদর্শ দেশ এখন ভারত হয়ে উঠেছে! রয়্যাল অ্যাস্ট্রোনমিকাল সোসাইটির মাসিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই তথ্য। সম্প্রতি লাদাখের হানলে-তে যে মহাকাশ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র তৈরি হয়েছে তাতে মুগ্ধ বিশ্বের অন্যান্য দেশের জ্যোর্তিবিজ্ঞানীরা! তারা জানিয়েছেন, মহাকাশকে এত পরিষ্কার বিশ্বের আর কোনও মহাকাশ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থেকে দেখা যায়নি! দেখা যায়নি মানে, জ্যোর্তিবিজ্ঞানীরা গত ৪১ বছরের একটা হিসেব ধরেছেন। সেখানে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র ছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন দেশের পাঠানো একাধিক উপগ্রহও! মূলত রাতে আকাশের মেঘ চিরে মহাকাশ কতটা পরিষ্কার দেখা যায় তার বিচারেই হানলে-র পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের মূল্যায়ন করা হয়েছে। বিশ্বের আটটি হাই-অল্টিটিউড পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থেকে রাতের মহাকাশ দেখেছেন জ্যোর্তিবিজ্ঞানীরা। এর মধ্যে ভারতেই রয়েছে তিনটি। আটটি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের মধ্যে ভারতের তিনটি হল লাদাখে দু’টি আর নৈনিতালের দেবাস্থলে একটি। বাকি পাঁচটি হাই-অল্টিটিউড পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে চিনের তিব্বত অঞ্চলে, দক্ষিণ আফ্রিকায় একটি, টোকিওয় আটাকামা পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র, চিলির পারনেল পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র আর মেক্সিকোর জাতীয় জ্যোর্তিবিজ্ঞান পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র।
হানলে জ্যোর্তিবিজ্ঞানীদের কাছে সবচেয়ে পছন্দের জায়গা হওয়ার কারণ এখানে বাতাস এত পরিষ্কার যে আলোর দূষণ হয় না বললেই চলে, দ্বিতীয়ত, চারপাশের প্রেক্ষাপটে বাতাসে এরোজলের ঘনত্ব বেশি। শুকনো আবহাওয়া। জ্যোর্তিবিজ্ঞানীরা বলছেন, হানলে পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থেকে বছরে ২৭০টি ‘পরিষ্কার’ রাত দেখা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

10 + 19 =