মহামূল্যবান – অ্যান্টি ম্যাটার

মহামূল্যবান – অ্যান্টি ম্যাটার

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১২ আগষ্ট, ২০২৪
অ্যান্টি ম্যাটার

ইট ডাজ একসিস্ট। এর অস্তিত্ব আছে- পদার্থবিজ্ঞানী,প্রফেসর ডাসর বললেন। ইনি ইউরোপিয়ান কাউন্সিল ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ এ পৃথিবীর সবথেকে মূল্যবান বস্তু নিয়ে গবেষণা করছেন। নাহ্ হিরে বা প্ল্যাটিনাম নয়। এটা হল অ্যান্টিম্যাটার- প্রতিপদার্থ। এক গ্রামের দাম ৬.২৫ ট্রিলিয়ান ডলার!

এই প্রতিপদার্থ কি?

পদার্থবিজ্ঞানে,পদার্থের বিপরীত হলো প্রতিপদার্থ। যার ভর, পদার্থের সমান কিন্তু বৈদ্যুতিক চার্জ বিপরীত। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, একটি পজিট্রন একটি ইলেকট্রনের প্রতিপদার্থ। দুটির ভর সমান। কিন্তু একটি ইলেকট্রন যদি +১ হয় তাহলে পজিট্রন -১। মহাবিশ্বের প্রাথমিক সময়কালের মতো সমান পরিমাণে পদার্থ এবং প্রতিপদার্থ সৃষ্টি হতে থাকলে আদপেই আমাদের পৃথিবীর সৃষ্টি হতোনা বলে বিজ্ঞানীদের ধারণা। দুই শক্তির অমিল এ পৃথিবীর সৃষ্টি, এখনও গবেষণাধীন। আইনস্টাইন এর কালজয়ী সুত্র E=mc2 অনুযায়ী মাত্র ১গ্রাম এন্টিম্যাটার ১গ্রাম ম্যাটার এর সাথে বিক্রিয়া করে ৯০লক্ষ কোটি জুল শক্তি উৎপাদন করতে পারে যা হিরসিমায়ে বিস্ফোরিত “লিটীল বয় ” এর ১০গুন। তাহলে দুষ্প্রাপ্য ও মূল্যবান হওয়ার সাথে সাথে বিপদজনকও বটে।

পার্থিব প্রকৃতির মধ্যে এই অ্যান্টিম্যাটার এমনিতে পাওয়া যায় না, এটা ল্যাবরেটরিতে তৈরি করতে হয়। প্রতিপদার্থের বর্তমান উৎপাদনের হার সম্ভাব্য চাহিদার তুলনায় খুবই কম। শুধুমাত্র উৎপাদন খরচই নয়, অ্যান্টিম্যাটারের সঞ্চয় এবং পরিচালনা ওতো সহজ নয়। এটা কোনও সাধারন বস্তুর সংস্পর্শে এলে বিস্ফোরণ সৃষ্টি করে ১০০ শতাংশ বিশুদ্ধ শক্তিতে রুপান্তরিত হয়ে যায়। তাই একটা ভ্যাকুয়াম কন্টেন্ট এ ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড ব্যবহার করা হয় এক্ষেত্রে। সুইজারল্যান্ডের সান গবেষনাগার দ্বারা প্রস্তুত ০.০০০৫ মিলিগ্রাম এন্টিম্যাটার মাত্র ১৭ মিনিট রাখতে পারা যায়। অ্যান্টিম্যাটার এর ব্যবহারিক প্রয়োগগুলিও বর্তমানে সীমাবদ্ধ। প্রয়োগের ক্ষেত্রে, প্রযুক্তিগত ক্ষমতার পরিসর স্বল্প। তাছাড়া এই প্রতিপদার্থ সম্পর্কে ধারণা এখনও পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। তবে অ্যান্টিম্যাটার নিয়ে গবেষণা চলছে জোর কদমে।