তিন থেকে চারদিন আগের খবর। পশ্চিমঘাট পর্বতমালার নিচে কেরলের কোট্টায়াম আর ইডুকিতে ভূমিধ্বস আর হড়পা বাণে মারা গেলেন অন্তত দু’ডজন সাধারণ মানুষ। বিখ্যাত ইকোলজিস্ট মাধব গ্যাডগিল এবং পশ্চিমঘাট ইকোলজি বিশেষজ্ঞদের প্যানেল রিপোর্ট দিয়েছে, পশ্চিমঘাট পর্বতমালা বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। এখনও সামাল না দিতে পারলে মহাসংকটে পৌঁছে যাবে পশ্চিমঘাট পর্বতমালা। ২০১১-তেই গ্যাডগিল কমিটি কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রককে রিপোর্ট দিয়েছিল। গ্যাডগিলের আবেদন ছিল যে, পশ্চিমঘট পর্বতমালার ইকোলজি বাঁচাতে হবে। ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে জঙ্গল। গোটা দেশে যে পরিমাণ উদ্ভিদ, বন্যপ্রাণী, বিরল প্রজাতির পাখি, সরীসৃপ, স্তন্যপায়ী প্রাণী রয়েছে তার ৩০ শতাংশ ছিল পশ্চিমঘাট পর্বতমালার জঙ্গলে! ক্রমশ জঙ্গল ধ্বংসের ফলে সেটাও দ্রুত কমে যাচ্ছে। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ইকোলজি। গ্যাডগিলের ভবিষ্যৎবাণী, কড়া অনুশাসনে জঙ্গলকে যদি বাঁচানো না যায় তাহলে কোট্টায়াম আর ইডুকির ঘটনা বার বার ঘটবে। ইকোলজিস্টদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পশ্চিমঘাট পর্বতমালা গ্রেট হিমালয়ের চেয়েও প্রাচীন! কেরল, তামিলনাড়ু, কর্নাটক, গোয়া আর মহারাষ্ট্রের পশ্চিম দিক দিয়ে ১৬০০ কিলোমিটার যাত্রাপথ এই পর্বতমালার। গ্যাডগিল বলেছেন, “কেরল হাইকোর্ট ইতিমধ্যে প্রত্যেকটা গ্রাম পঞ্চায়েতকে আইন করে ক্ষমতা দিয়ে দিয়েছে পর্বতমালাকে বাঁচানোর জন্য। তারপরেও অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনকভাবে নিঃশব্দে জঙ্গল ধ্বংসের কাজ চলছে।”