মাইক্রোওয়েভ অভেনে ১০০ টিরও বেশি ব্যাকটেরিয়া প্রজাতি

মাইক্রোওয়েভ অভেনে ১০০ টিরও বেশি ব্যাকটেরিয়া প্রজাতি

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ২৯ আগষ্ট, ২০২৪

গরমকাল হোক বা শীতকাল, খাবার গরম করে খেতেই বেশ ভালোই লাগে। রান্নাঘরে মাইক্রোওয়েভ অভেন না থাকলে এ কালের অনেকই দিশেহারা হয়ে পড়েন। কারণ ব্যস্ততার যুগে সবসময় রান্না করে খাওয়ার সময় থাকে না। তাই এক বারে অনেকটা রান্না করে তা দিয়েই দু’-তিন বেলা চালিয়ে নেওয়ার একটা প্রবণতা থাকে আমাদের সকলের মধ্যে। অন্যদিকে বাইরে থেকে আনা খাবার গরম করা, অল্প তেলে অথবা তেল ছাড়া রান্নার জন্য অনেকেই মাইক্রোওয়েভ অভেনের দ্বারস্থ হন। অনেকে আবার কাজের সূত্রে একাই বাড়িতে থাকেন। তাই ভরসা করেন বাইরের খাবারে। খাওয়ার আগে কেবল গরম করে নিলেই হল। কিন্তু জানেন কী রান্নাঘরের মাইক্রোওয়েভ অভেনও ব্যাকটেরিয়া থেকে মুক্ত নয়। আমাদের মনে হতেই পারে একটি মাইক্রোওয়েভ অভেনের মধ্যে বিকিরণকারী পরিবেশ জীবাণুর জন্য উপযুক্ত নয়। কিন্তু সমীক্ষায় বিভিন্ন স্থানে মাইক্রোওয়েভ অভেন থেকে নমুনা সংগ্রহ করে তাতে ১০০ টিরও বেশি ব্যাকটেরিয়ার স্ট্রেন শনাক্ত করা হয়েছে। গবেষণাটি ফ্রন্টিয়ার্স ইন মাইক্রোবায়োলজিতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষকদের মতে, এই প্রথমবারের বিজ্ঞানীরা মাইক্রোওয়েভ অভেনে বসবাসকারী জীবাণু সম্প্রদায়ের তথ্য নথিভুক্ত করেছেন। মাইক্রোবায়োলজিস্টরা ৩০টি মাইক্রোওয়েভ অভেনের ভিতরের দেয়াল এবং ঘূর্ণায়মান কাচের প্লেট থেকে সোয়াব নমুনা সংগ্রহ করেন। তারা রান্নাঘর, পরীক্ষগার এবং ক্যাফেটেরিয়ার মতো বিভিন্ন স্থানে ব্যবহৃত ১০টি করে অভেন বেছে নেন পরীক্ষার জন্য। সোয়াবের নমুনার প্রতিটির মধ্যেই ব্যাকটেরিয়ার উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যায়। ব্যাকটেরিয়া কলোনির ডিএনএ বিশ্লেষণ করে প্রোটিওব্যাকটেরিয়া, ফার্মিকিউটস, অ্যাক্টিনোব্যাকটেরিয়া এবং ব্যাকটেরোয়েডেটের আধিপত্য দেখা গেছে। এই সব ব্যাকটেরিয়া সাধারণত মানুষের ত্বক এবং তাদের ব্যবহৃত বস্তুর পৃষ্ঠগুলোয় পাওয়া যায়। রান্নাঘরের মাইক্রোওয়েভ অভেনের মধ্যে ক্লেবসিয়েলা এবং ব্রেভুন্ডিমোনাস ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গেছে যা খাদ্যবাহিত রোগের কারণ হতে পারে। এই ব্যাকটেরিয়া স্ট্রেন কীভাবে মাইক্রোওয়েভ অভেনের উচ্চ তাপমাত্রা এবং ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক বিকিরণের সাথে খাপ খাইয়ে বেঁচে থাকতে পারে তা স্পষ্ট নয়। তাই গবেষকদের মতে এই বিষয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

11 + fourteen =