
বিশাখাপত্তনমের রুশিকোন্ডা সৈকতে চারজন স্কুবা ড্রাইভার সৈকত সংলগ্ন সমুদ্রের তলদেশ পরিষ্কার করতে গিয়ে পেলেন শুধু মাস্কের বর্জ্য! এন-৯৫, সার্জিকাল, ক্লথ মাস্ক-সব রকমের মাস্ক। চার বন্ধু মিলে সেখান থেকে দেড় কুইন্টাল বর্জ্য মাস্ক উদ্ধার করেন।
পরিসংখ্যান আরও উদ্বেগজনক তথ্য জানাচ্ছে। মুম্বইয়ের জুহু সৈকতে ২ দিনে ১০ হাজার মাস্ক, ১৫০০ গ্লাভস আর পিপিই কিট উদ্ধার হয়েছিল। ২০১৯-এ ৮০০ মিলিয়ন ডলারের মাস্ক বিক্রি হয়েছিল। করোনার সময় সেটা গিয়ে দাঁড়ায় ১৬৬ বিলিয়ন ডলার। যা ব্যবহার করে মানুষ ফেলে দিত। গবেষকরা জানিয়েছেন এই সমস্ত ব্যবহৃত মাস্ক থেকে কিছু রাসায়নিক দূষক ও ক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণা পরিবেশে আসছে। যা তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। মাস্কের ব্যবহার বেড়েছে ৯০০০ শতাংশ। অর্থাৎ শতাব্দী ব্যাপী এই মাস্কের প্রভাব থাকবে পরিবেশ প্রকৃতিতে, জলে, স্থলে। ওয়েলস এর সোয়ানসা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানিয়েছেন, মাস্কগুলি জলে ফেলে দিলে তাদের ভেতর থেকে কিছু ভারি ধাতু ও প্লাস্টিক তন্তু বেরিয়ে আসে। গবেষকরা, বলছেন, মাস্ক তৈরি সময় ব্যবহৃত রঙের সাথে এই দূষক পদার্থগুলির বিশেষ সংযোগ রয়েছে। এদের বেশিরভাগই তৈরি হয় দক্ষিণ এশিয়া ও চিনে। একদল গবেষক মাস্কের উপর লেড, অ্যান্টিমনি ও ক্যাডমিয়াম এর মতো ভারী ধাতুর উপস্থিতিও লক্ষ্য করেছেন, জানিয়েছেন এগুলো কিন্তু বিষাক্ত।
গবেষকদের সতর্কবার্তা, মাস্ক ও মাস্ক জাতীয় জিনিসের উপাদানের সঙ্গে এই ধরনের দূষকের মাত্রা পরিবেশে বাড়তে থাকবে সমান্তরালভাবে।