মুক্তি নয়, শঙ্করের সঙ্গিনী আনতে বলল আদালত

মুক্তি নয়, শঙ্করের সঙ্গিনী আনতে বলল আদালত

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা।
Posted on ১১ জুলাই, ২০২২

আপাতত ঘরে ফেরা হচ্ছে না দিল্লি চিড়িয়াখানার বাসিন্দা শঙ্করের। গত ২৫ বছর ধরে দিল্লির চিড়িয়াখানায় নিঃসঙ্গ বাসিন্দা এই আফ্রিকান হাতিটির মুক্তি চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছিল দিল্লি হাই কোর্টে। কিন্তু প্রাথমিকভাবে তাতে সাড়া দেয়নি আদালত। বিচারপতি সতীশ চন্দ্র এবং বিচারপতি সু্ব্রহ্মণ্যম প্রসাদের বেঞ্চ বুধবার সেন্ট্রাল জু অথরিটি (কেন্দ্রীয় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ) এবং অ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার বোর্ডের (পশু কল্যাণ পর্ষদ) বিশেষজ্ঞদের এই বিষয়ে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে। রিপোর্ট পেশের পরেই এ বিষয়ে রায় ঘোষণা করা হবে বলে দিল্লি হাই কোর্ট বুধবার নির্দেশ দিয়েছে। আফ্রিকা থেকে শঙ্করের সঙ্গিনী হওয়ার জন্য ওই প্রজাতির কোনও মাদি হাতিকে আনা সম্ভব কি না, তা-ও খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেন্ট্রাল জু অথরিটি-কে। সিকি শতক আগে আফ্রিকা সফরে গিয়েছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শঙ্করদয়াল শর্মা। সে সময় জিম্বাবোয়ে সরকার আফ্রিকান হস্তিশিশুটিকে উপহার দিয়েছিল তাঁকে। সেই থেকে দিল্লি চিড়িয়াখানায় রয়েছে সে। সেন্ট্রাল জু অথরিটি-র নিয়ম অনুযায়ী কোনও প্রাণীকে তার সমপ্রজাতির সঙ্গী বা সঙ্গিনী ছাড়া রাখা যায় না। একটি পশুপ্রেমী সংস্থার তরফে তাই শঙ্করকে আফ্রিকায় ফিরিয়ে দেওয়ার জানানো হয়েছিল হাই কোর্টে। কারণ, বিধি মেনে ভারতীয় প্রজাতির কোনও হাতিকে শঙ্করের সঙ্গিনী হিসাবে দিল্লি চিড়িয়াখানায় রাখা সম্ভব নয়।